
রেহনুমায়ে শরীয়ত ও তরিক্বত আওলাদে রাসূল (সা.) মুরশিদে বরহক হযরত শাহছূফি হাফেজ মুহাম্মদ সৈয়দ তৈয়্যব শাহ (রহ.) এর ৩১তম বার্ষিক ওরশ মোবারক উপলক্ষে খতমে কোরআনে পাক, খতমে গাউছিয়া শরীফ, মিলাদ, দোয়া, মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সাবেক মেয়র আলহাজ্ব মোহাম্মদ মনজুর আলম প্রতিষ্ঠিত আলহাজ্ব হোছনে আরা মনজুর ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের উদ্যোগে শনিবার (২২ জুন) সকালে হযরত খাজা আব্দুল হাকিম শাহ আল মাইজভাণ্ডারী মাজার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আলহাজ্ব মোহাম্মদ মনজুর আলম।
আলহাজ্ব হোছনে আরা মনজুর ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের পরিচালক ও সমাজসেবক মোহাম্মদ সাইফুল আলম এতে সভাপতিত্ব করেন।
আলোচনা করেন অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলমগীর, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সেলিম জাহাঙ্গীর, সাবেক অধ্যক্ষ বাদশা আলম, উপাধ্যক্ষ মাহফুজুল হক চৌধুরী, সমাজসেবক নেছার আহমদ, অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ফরিদুল আলম। মিলাদ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা আব্দুল মান্নান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক মেয়র মনজুর আলম বলেন, পবিত্র ইসলাম কাল কেয়ামত পর্যন্ত দুনিয়ায় জারি থাকবে। আল্লাহর অলি ও সাচ্চা আলেম দ্বারা পবিত্র ইসলামের প্রচার ও প্রসার অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, ১৯৫৪ সালে সিরিকোটি (রহ.) কর্তৃক চট্টগ্রাম ষোলশহরে প্রতিষ্ঠিত ‘জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া কামিল মাদ্রাসা’ এশিয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ ‘সাচ্চা আলেম’ তৈরির একটি কারখানা। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ১৯৪২ খ্রি. থেকে আল্লামা সৈয়দ তৈয়্যব শাহ (রহ.) চট্টগ্রামে আসা-যাওয়ায় ছিলেন। হযরত সিরিকোটি হুজুরের ওফাত পরবর্তী কাল থেকে শুরু করে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত হযরত তৈয়ব শাহ (রহ.) বাংলাদেশ সফর করে (মাঝখানে কয়েক বছর ছাড়া)। হযরত সৈয়দ তৈয়্যব শাহ (রহ.) মাধ্যমে কাদেরিয়া ত্বরিকার মূলধারা বাংলাদেশের ঘরে ঘরে পৌঁছে যায়। মনজুর আলম সুন্নিয়তের উপর সকলকে জীবন ধারনের আহ্বান জানান। পরে তবারুক বিতরণ করা হয়।