নিজস্ব প্রতিবেদক *
স্বাধীনতাসংগ্রামের অন্যতম সংগঠক ও নিউক্লিয়াস প্রধান সিরাজুল আলম খান দাদার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আর সিরাজুল আলম খান ছিলেন একই মুদ্রার এপিঠ- ওপিঠ। স্বাধীন-বাংলাদেশের অস্তিত্বের সাথে এ দুই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নাম একাকার হয়ে আছে। কিংবদন্তী এ দুই নেতাকে পৃথক করে স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যাবে না। বঙ্গবন্ধু দাদাভাইকে ছেড়ে না গেলে স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস হতো ভিন্ন; কলংকিত ১৫ আগস্ট ইতিহাসে সংযোজিত হতো না।” রাষ্ট্রের প্রচলিত সাংবিধানিক কাঠামো পরিবর্তন না করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন তথা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন সম্ভব নয় বলে বক্তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।
গতকাল (৯জুন) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে এ স্মরণসভার আয়োজন করে সিরাজুল আলম খান স্মৃতি পরিষদ। সভায় সভাপতিত্ব করেন, সিরাজুল আলম খান স্মৃতি পরিষদের আহ্বায়ক বীরমুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান। সভা পরিচালনা করেন, সিরাজুল আলম খান স্মৃতি পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আরশাদ চৌধুরী।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্মৃতি পরিষদের সদস্যসচিব মশিউর রহমান খান। দাদাভাইয়ের রাজনৈতিক দর্শন নতুনপ্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয়নেতা চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট আবু মোহাম্মদ হাসেম,সিরাজুল আলম খানের ছোটভাই ফেরদাউস আলম খান পেয়ারু, ভাইঝি ব্যারিস্টার ফারাহ খান, নিউক্লিয়াস সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র বনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হুদা মাস্টার, বীর মুক্তিযোদ্ধা দিলিপ কান্তি দাশ, গণমুক্তি ইউনিয়নের রাজা মিয়া, জেএসডির মুসতবা কামাল অধ্যাপক ড. ইদ্রিস আলী,বাসদ ( মার্কসবাদী) নেতা শফিউদ্দিন কবির আবিদ, এডভোকেট আক্তার কবির,স্মৃতি পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক সোলায়মান খান,জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন বাবুল,বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম শাহজাহান খান, বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদার স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী সিন্সন ভৌমিক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য শ ম নজরুল
ইসলাম, সাবেক ছাত্র নেতা শ ম ইউনুস, শেখ গোলাম মোহাম্মদ রাজু, আল কাদেরী জয়, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফী খান প্রমুখ