প্রতি বছর পবিত্র রমজানের ৩০ দিনই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত এতিম শিশুদের সাথে ইফতার করেন। এবারের প্রথম রমজান থেকে ২০ রমজান পর্যন্ত তিনি তাঁর এইচএম ভবন অডিটরিয়ামে নগরী ও জেলার ২০টি মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত এতিম শিশুদের সাথে ইফতার করেন।
প্রতিদিনের ইফতারের পর মাগরিব নামাজ শেষে এতিমদের হাতে হাতে ঈদ উপহার ও ঈদ বকশিস তুলে দেন এই মানবিক সমাজসেবক। এবার ২০ রমজান পর্যন্ত ঈদবস্ত্র পেয়েছে প্রায় চার হাজার এতিম শিক্ষার্থী। প্রতিদিনই ইফতার পূর্ব খতমে কোরআনে পাক, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিদিনে ইফতারে সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলমের পুত্র, নাতিরা একই সাথে ইফতার সারেন। এই ধরনের এক বিরল ইতিহাস অন্য কারোর ক্ষেত্রে সচরাচর দেখা যায় না। সাবেক মেয়রের এইচ এম ভবনে এতিম শিশু শিক্ষার্থী ছাড়া প্রায় হাজার খানেক রোজাদার ইফতার করেন। এছাড়াও মানবিক এ সমাজসেবক পথচারী কর্মরত পুলিশ, দারোয়ান, শ্রমিক ইত্যাদি রোজাদারদের মাঝে প্রতিদিন ইফতার বিতরণ করেন। নাজাতের সময়ে মসজিদে মসজিদে এতেকাফে থাকেন বেশ কিছু রোজাদার। সাবেক মেয়র মনজুর আলম তাঁর ১০নম্বর উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে সকল মসজিদে এতেকাফে থাকাদের জন্য তৈরী সেহেরী ও ইফতার প্রতিদিন পৌঁছে দেন।
এছাড়াও সাবেক মেয়র নির্ধারিত মসজিদ, মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে প্রতিদিন ইফতার ও সেহেরী প্রদান করে থাকেন। প্রতিদিন ইফতার পূর্বে তিনি মুসল্লিদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, পবিত্র রমজান খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস। এ মাস আল্লাহতায়ালা ৩ স্তরে ভাগ করে বলেছেন,প্রথম ১০ রমজান রহমতের, মধ্য ১০ রমজান মাগফেরাতের এবং শেষ ১০ রমজান নাজাতের জন্য নির্ধারিত। রোজাদারদের এই নেয়ামত আল্লাহ প্রদত্ত। আল্লাহ পবিত্র রমজানের পুরস্কার রোজাদারদের নিজে দেবেন। সাবেক মেয়র বলেন, আমি ও আমার পরিবারের সকলেই নিঃস্বার্থ সমাজসেবায় নিয়োজিত। আমাদের সকল সেবা একমাত্র আখেরাতের মুক্তির জন্য। দুনিয়াবী কোনো মোহ লোভ আমাদের নেই। তিনি তাদের সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান আলহাজ্ব মোস্তফা হাকিম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন ও আলহাজ্ব হোছনে আরা মনজুর ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট এর সেবাধর্মী সকল কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।