বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

আজ চৈত্র সংক্রান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক *

bsrm

চৈত্র সংক্রান্তি বা চৈত্র মাসের শেষ দিন শনিবার (১৩ এপ্রিল)। বাংলা মাসের সর্বশেষ দিনটিকে সংক্রান্তির দিন বলা হয়। রবিবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ, নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩১।

এই চৈত্র সংক্রান্তি আবহমান বাংলার চিরায়িত বিভিন্ন ঐতিহ্যকে ধারণ করে আসছে। বছরের শেষ দিন হিসেবে পুরাতনকে বিদায় ও নতুন বর্ষকে বরণ করার জন্য প্রতিবছর চৈত্র সংক্রান্তিকে ঘিরে থাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান-উৎসবের আয়োজন। মনে করা হয়, চৈত্র সংক্রান্তিকে অনুসরণ করেই পহেলা বৈশাখ উদযাপনের এত আয়োজন। তাই চৈত্র সংক্রান্তি হচ্ছে বাঙালির আরেক বড় অসাম্প্রদায়িক উৎসব।

সনাতন ধর্মাবলম্বীরা চৈত্র সংক্রান্তির দিন শাস্ত্র মেনে স্নান, দান, ব্রত, উপবাস করে থাকেন। নিজ নিজ বিশ্বাস অনুযায়ী, অন্য ধর্মাবলম্বীরাও নানা আচার-অনুষ্ঠান পালন করেন।ads din

বছর বিদায়ের উৎসব পালন করেন ব্যবসায়ীরাও। শুচি-শুদ্ধ হয়ে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও নতুন করে সাজিয়ে তোলেন। আগের পুরোনো সব জঞ্জাল পরিষ্কার করেন। পুরোনো সব হিসাব চুকিয়ে নতুন হালখাতা খোলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। নতুন বছরের প্রথম দিনে হালখাতা খোলা হয়।

এছাড়াও চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে নানা ধরনের মেলা ও উৎসব হয়। হালখাতার জন্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সাজানো, লাঠিখেলা, গান, সংযাত্রা, রায়বেশে নৃত্য, শোভাযাত্রাসহ নানা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে উদযাপিত হয় চৈত্র সংক্রান্তি।

চৈত্র সংক্রান্তির প্রধান উৎসব চড়ক। চড়ক গাজন উৎসবের একটি প্রধান অঙ্গ। এ উপলক্ষে গ্রামের শিবতলা থেকে শোভাযাত্রা শুরু করে অন্য গ্রামের শিবতলায় নিয়ে যাওয়া হয়। একজন শিব ও একজন গৌরী সেজে নৃত্য করে এবং অন্য ভক্তরা নন্দি, ভৃঙ্গী, ভূত-প্রেত, দৈত্য-দানব সেজে শিব-গৌরীর সঙ্গে নেচে চলে।

চৈত্র সংক্রান্তির মাধ্যমে পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে রোববার (১৪ এপ্রিল) সফলতা ও সমৃদ্ধির প্রত্যাশায় দেখা দেবে নতুন ভোর পহেলা বৈশাখ। পুরোনো বছরের সব জরাজীর্ণ মুছে ফেলে রোববার বাঙালি মিলিত হবে পহেলা বৈশাখের সর্বজনীন উৎসবে। জরাজীর্ণতা, ক্লেশ ও বেদনার সবকিছু বিদায় জানানোর পাশাপাশি সব অন্ধকারকে বিদায় জানিয়ে আলোর পথে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার থাকবে গোটা জাতির।

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও