নিজস্ব প্রতিবেদক *
জাতীয় বীর বিপ্লবী মহানায়ক মাস্টারদা সূর্যসেন ও বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদারের ৯১তম ফাঁসি দিবসে বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদার স্মৃতি পরিষদের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম নগরীর জেএমসেন হল প্রাঙ্গনে মাস্টারদা সূর্যসেনের আবক্ষ মূর্তিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদনের পরে মাস্টারদার ভাস্কর্যের সামনে আলোচনা সভা করা হয়।
পরিষদের সভাপতি শিক্ষক অঞ্জন কান্তি চৌধুরীর সভাপতিত্বে, অর্থ সম্পাদক তপন ভট্টাচার্য্যের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদের বীর মুক্তিযোদ্ধা চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন, প্রধান বক্তা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইন্জিনিয়ার সিঞ্চন ভৌমিক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ইউপি সদস্য সুনীল দাশ, মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ, শিক্ষক লিটন চৌধুরী, সজল শিকদার সহ অনেকে।
বক্তারা বলেন, ঐতিহাসিক নিদর্শন চট্টগ্রাম জেলা কারাগারে ফাঁসির মঞ্চে বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদারের নাম ও ম্যূরাল সংযুক্ত করায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারকে অভিনন্দন জানান। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জাতীয় জীবনে একই সূত্রে গাঁথা। বিপ্লবীদের পথ ধরে জাতীর পিতা বঙ্গ্বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালে সশস্ত্র রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ উপহার দিয়ে যান। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই যে, আমাদের দেশের সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে বিপ্লবীদের কোন দিবস পালন না করায়, আমাদের ছেলেমেয়েরা বিপ্লবীদের গৌরবগাঁথা সোনালী দিনগুলোর কথা তেমন কিছুই জানে না। তাই বক্তারা এই দুই মহান বিপ্লবীর ফাঁসি দিবসকে রাষ্ট্রীয় ভাবে পালন করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান। বক্তারা আরো দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, জাতীয় বীর বিপ্লবী মহানায়ক মাস্টারদা সূর্যসেনের বাড়ি-ঘর সরকারিভাবে রক্ষা করা হলেও, একই সাথে প্রাণ দানকারী বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদারের বাড়ি-ঘর জায়গা-জমিগুলো এখনো রক্ষা করার কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। পরিশেষে বক্তারা, প্রশাসনের কাছে বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদারের বাড়ি-ঘর, জায়গা-জমিগুলোতে আগামী প্রজম্মের জন্য বিপ্লবী ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি জাদুঘর করার জন্য জোর দাবি জানান।