চট্টগ্রাম-৪, সীতাকুণ্ড এবং আংশিক আকবরশাহ্ ও পাহাড়তলী আসনের ঈগল প্রতিকের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী লায়ন আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইমরান বলেন, আমি সন্ত্রাস হানাহানি মারামারির মধ্যে নেই। ঈগলের প্রার্থী আপনাদের ভালোবাসার মানুষ, আপনাদের ভাই, আপনাদের সন্তান মোহাম্মদ ইমরানের লক্ষ্য একটাই আমাদের এলাকায় অপরাধ কিংবা সন্ত্রাসী অপরাধীর কোন স্থান হবে না। আর, এটা করতে হলে ছেলেমেয়েদের সুশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। শুধু পড়াশোনা না, আদব লেহাজ সহ সুশিক্ষিত হতে হবে। সুশিক্ষিত মানুষেরা কখনও অপরাধে জড়ায় না, সন্ত্রাসী-অপরাধীর সাথেও থাকে না।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর)চট্টগ্রামের উত্তর কাট্টলিস্থ কন্দার বাড়ি, বারই পাড়া, জ্বালাকুমারি বাড়ি, বড়কালিবাড়িও ঈষান মহাজন রোডে গণসংযোগ শেষে ঘোষ বাড়িতে কর্মীসভায় তিনি একথা বলেন। কর্মীসভায় বক্তব্য রাখেন দিলিপ চৌধুরী, রতন দাশ, বিধু কর্মকার সহ আরো গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এসময় চট্টগ্রাম-৪ আসনে তাঁরা কেমন সংসদ সদস্য চান সেকথা বলেন এবং ঈগল প্রতিকের সমর্থনে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
ঈগল প্রতিকের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী লায়ন আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইমরান উপস্থিত জনতার কাছে দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, সময়ের অভাবে এবং বিরূপ পরিস্থিতিতে স্বশরীরে আপনাদের কাছে আসতে পারি নাই। আপনারা আমাকে মাফ করে দেবেন।তিনি আরো বলেন, যার সাথে দেখা হয় কিংবা মোবাইলে-ফেসবুকে কথা তারই একটা প্রশ্ন— আপনার পোস্টার দেখি না কেন? আপনি এলাকায় আসছেন না কেন? কেউ কেউ আরেকটু রাগ দেখিয়ে, অভিমান করে বলেন, ড্রইং রুমে বসে বসে কী এমপি হওয়া যায়? এসব শুনে মানুষ হিসেবে আমার কষ্ট লাগে, দুঃখ হয়— এটা সত্য। কিন্তু, আপনারা আমাকে ভালোবাসেন বলেই-না আমাকে বকা দেন, আমার খোঁজ নেন, আমার জন্য নিরবে নিভৃতে প্রচার করেন এবং আল্লাহ কাছে দোয়া করেন।
উপস্থিত জনতাকে উদ্দেশ্য করে ঈগল প্রতিকের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী লায়ন আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইমরান বলেন, আপনাদের দোয়া আছে বলেই বারবার চেষ্টা করেও ওরা ঈগলের ডানা ভাঙতে পারেনি। আপনাদের আশীর্বাদ আছে বলেই ওরা আপনাদের মন থেকে আমাদের নাম মুছে দিতে পারেনি। এবং, ইনশাআল্লাহ, পারবেও না। তিনি বলেন, অপরাধমুক্ত সুশিক্ষিত সমাজ গড়া-ই হবে সংসদ সদস্য হিসেবে আমার একমাত্র লক্ষ্য। আপনারা জানেন, আজকে থেকে মাত্র ৩দিন আগেও সুপ্রিমকোর্টে আপিলের মাধ্যমে পাওয়া আমার প্রার্থীতা বাতিলের জন্য সীতাকুণ্ডের এক প্রার্থী মামলা করেছিলেন। যেটাকে আদালতের ভাষায় বলে লিভ-টু-আপিল। কিন্তু মামলা করেও আলহামদুলিল্লাহ্ কোনো লাভ হয়নি। মহামান্য আদালত তাঁদের আবেদন খারিজ করে ঈগল পাখি মার্কায় আমার প্রার্থীতা বহাল রেখেছেন। যে আদেশের কপি গত ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ আমাদের হাতে এসেছে।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন, সবাই যখন নির্বাচনের প্রচারে আনন্দমুখর পরিবেশে আমরা তখনও প্রার্থীতা বহাল রাখার লড়াইয়ে ব্যস্ত। একবার বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে, আরেকবার নির্বাচন কমিশনে। আবার বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে, তো আবারও হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টের বারান্দা, গলি, এজলাসে। এভাবেই সারাক্ষণ টেনশনে। আলহামদুলিল্লাহ্, মহান আল্লাহর প্রতি লাখো কোটি শুকরিয়া, তিনি শেষমুহুর্তে হলেও ঈগলের ডানা ভেঙে দেয়ার অপপ্রয়াস নস্যাৎ করে দিয়েছেন।
সুতরাং, আমাদেরকে এর জবাব দিতে হবে। এ সময় উপস্থিত জনতা হাত তুলে তাঁকে আশ্বস্ত করলে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম-৪ আসনের মানুষেরা কেমন মানুষ চায় তা আগামী ৭ জানুয়ারী আমরা জেনে যাবো, ইনশাআল্লাহ্। আমরা নিরব বিপ্লব করবো।