নিজস্ব প্রতিবেদক *
“বৈষম্য-দারিদ্রের অবসান ও মানবাধিকার সুরক্ষাসহ উন্নয়নের গতি বৃদ্ধিতে চাই নারীর জন্য পর্যাপ্ত বিনিয়োগ” এই দাবীকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) চট্টগ্রাম কেন্দ্র নানা কর্মসূচী পালন করে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল- গণজমায়েত, বর্ণাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভা, বক্তৃতা প্রতিযোগিতা ও নাটক প্রদর্শন।
আজ বৃহষ্পতিবার (৭মার্চ) সকাল ৯ টায় কারিতাস চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের মাঠে গণজমায়েত শেষে নারীর প্রতি সকল প্রকার
সহিংসতা বন্ধ করো-নারীর চলাফেরার নিরাপত্তা নিশ্চিত করো, সম্পদ সম্পত্তিতে নারীর সমঅধিকার নিশ্চিত করোসহ বিভিন্ন দাবিতে ফেস্টুন সম্বলিত র্যালি আরম্ভ হয়ে শিশু একাডেমি – প্রবর্তক মোড় হয়ে পুনরায় কারিতাস প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। র্যালিতে জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, কমিউনিটি নেতা, এনজিও প্রতিনিধি তরুণ-তরুণী ও তৃণমূল নারীসহ শতাধিক লোক উপস্থিত ছিলেন।
র্যালি পরবর্তী কারিতাস চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের হলরুমে রূপান্তরিত যুব সদস্যদের অংশগ্রহণে বাল্য বিবাহ রুখবই আমরা, যৌন হয়রানিকে না বলুন ও গৃহস্থলি কাজে পুরুষেরা অংশগ্রহণ করবো বিষয়ে বক্তব্য প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত প্রতিযোগিতায় ১৭ জন রূপান্তরিত যুব ও নারী দল সদস্য অংশগ্রহণকারী হতে যুব সদস্য রিয়াজুল জান্নাহ মারজান প্রথম স্থান, সুমি আকতার ২য় এবং জান্নাতুল ফেরদৌস বৃষ্টি ৩য় স্থান অর্জন করেন। বক্তব্য প্রতিযোগিতা পরবর্তী বিএনপিএস চট্টগ্রাম কেন্দ্র ব্যবস্থাপক ফেরদৌস আহম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন আকাশ কমিউনিটি ফোরামের উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর মোস্তফা, রঞ্জন রশ্মি বড়ুয়া, প্রভাতি কমিউনিটি ফোরামের সভাপতি আনোয়ারা আলম, সদস্য রীনা বেগম, শ্যামলী শীল, প্রত্যাশা কমিউনিটি ফোরামের উপদেষ্টা শাহরিয়া রিয়াদ, বিএনপিএস’র উন্নয়ন কর্মকর্তা এরশাদুল করিম, কর্মসূচী সংগঠক তপন কান্তি দে, তানজিনা নূর, বিপ্লব দাশ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদ ও বাংলাদেশের সংবিধানে নারীর সমান অধিকার থাকলেও বিদ্যমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, দারিদ্র, বৈষম্য ও পরিবেশগত বিপর্যয়ে নারীকে আরো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পতিত করছে। জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠা, নারীদের দারিদ্র ও বৈষম্য মোকাবেলায় নেতৃত্ব প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিএনপিএসসহ অন্যান্য প্রগতিশীল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মনে করে বাংলাদেশে এখনও বৈষম্যমূলক উত্তরাধিকার আইন বিদ্যমান রয়েছে। উত্তরাধিকারে সমতা প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সফল হবে না। উত্তরাধিকারে সমতা প্রতিষ্ঠিত হলে নারীরা পায়ের নিচে মাটি পাবে, তাদের প্রতি সমাজের সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
আলোচনা সভা শেষে যুবদলের সদস্যদের অংশগ্রহণে বাল্য বিয়ে ও যৌনহয়রানী প্রতিরোধ বিষয়ক নাটক প্রদর্শিত হয়।