মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

পরিচ্ছন্নকর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার উপর গুরুত্ব দিতে হবে: মেয়র শাহাদাত

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম নগরীতে কর্মরত বর্জ্য সংগ্রহকারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার লক্ষ্যে ইপসা (ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশন) নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে রবিবার (৯ মার্চ) চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় নগরীর হালিশহর আনন্দবাজার ল্যান্ডফিল্ডে বর্জ্য সংগ্রহকারীদের মাঝে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।bsrm

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার  ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, কমান্ডার মো. আরিফুর রহমান, ইপসা’র প্রতিষ্ঠাতা  ও প্রধান নির্বাহী মো. আরিফুর রহমান, চসিকের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার নাছির উদ্দিন রিফাত, ইপসা প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের ফোকাল ও সহকারী পরিচালক মো. আব্দুস সবুর, প্রোগ্রাম ম্যানেজার অপূর্ব দেবসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, আমরা ‘ক্লিন সিটি, গ্রীন সিটি, হেলদি সিটি গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছি। জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ হলো প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জ্য, যা নালায় জমে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত করছে। সচেতনতা বৃদ্ধি এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নতির মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। চসিক তিনটি ধাপে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে—প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও চূড়ান্ত স্তর। পরিকল্পনার আওতায় বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করা হবে, যার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন, বায়োগ্যাস উৎপাদন ও সার তৈরির সুযোগ সৃষ্টি হবে।

শহর পরিচ্ছন্নতা ও পরিবেশ রক্ষার জন্য নাগরিকদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “যত্রতত্র ময়লা ফেলা বন্ধ করে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে। আমরা ইতোমধ্যে একটি উদ্যোগ নিয়েছি, যেখানে নির্দিষ্ট পরিমাণ প্লাস্টিক জমা দিলে বিনিময়ে চাল, ডাল বা অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী দেয়া হচ্ছে। এতে জনগণ উৎসাহিত হচ্ছে এবং পরিবেশবান্ধব আচরণ গড়ে উঠছে।ads din

“সিটি কর্পোরেশন কেবল পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে কাজ করছে না, বরং পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সুরক্ষার বিষয়েও গুরুত্ব দিচ্ছে। তাদের জন্য গ্লাভস, বুট, হেলমেটসহ বিভিন্ন নিরাপত্তা সামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য, পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি স্বাস্থ্য সুরক্ষাও নিশ্চিত করা।”

ইপসা’র প্রধান নির্বাহী মো. আরিফুর রহমান জানান, “চট্টগ্রাম নগরীতে ইপসা এখন পর্যন্ত ১,৮২৭ জন বর্জ্য সংগ্রহকারীদের মাঝে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছে, যা তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমিয়েছে এবং কর্মঘণ্টা বাড়িয়েছে। এর ফলে নগরীর প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ কার্যক্রম আরও বেগবান হয়েছে।”

ইপসা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের যৌথ উদ্যোগে এবং ইউনিলিভার বাংলাদেশের আর্থিক সহযোগিতায় পরিচালিত এই প্রকল্পের আওতায় চসিকের ৪১টি ওয়ার্ডে ১,৭০০ বর্জ্য সংগ্রহকারী ও ১৫৬ জন ভাঙারিওয়ালা কাজ করছে। এখন পর্যন্ত প্রকল্পের মাধ্যমে ২১,৭৩৪ টন প্লাস্টিক বর্জ্য রিসাইক্লিং করা হয়েছে।

বর্জ্য সংগ্রহকারীদের মাঝে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করছেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও