চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আলহাজ্ব মোহাম্মদ মনজুর আলম পবিত্র রমজান মাসের শুরু থেকে প্রতিদিন তার নতুন বাসভবন এইচ.এম ভবন অডিটরিয়ামে এতিম,হাফেজ,মাদ্রাসার ছাত্র,গরীব,দু:স্থ, শ্রমিক, পথচারী ও চালকদের সাথে প্রতিদিন ইফতার সারেন। প্রতিদিন পবিত্র আছরের পর এইচ.এম ভবনের সদর দরজা ইফতারে যোগদানের জন্য খুলে দেয়া হয়। ইফতারপূর্বে প্রতিদিন খতমে কোরআনেপাক, দোয়া ও মিলাদ,বিশেষ মুনাজাত পরিচালিত হয়।
ইফতারে সাবেক মেয়র আলহাজ্ব মোহাম্মদ মনজুর আলম এর সাথে তার সুযোগ্য পুত্র ও নাতিরা একসাথে ইফতার সারেন। ইফতার ও মাগরিবের নামাজ শেষে প্রতিদিন এতিম ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন ঈদ বস্ত্র,ঈদ বকসিশ এবং সেহেরীর জন্য তৈরী খাবারের প্যাকেট প্রদান করেন। চট্টগ্রাম নগরী, ফটিকছড়ি, আনোয়ার ও সীতাকুণ্ডসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে এতিম ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন বাসযোগে এইচ.এম ভবনে নিয়ে আসা হয় এবং যথানিয়মে তাদের পৌঁছে দেয়া হয়। প্রথম রজমান মঙ্গলবার থেকে ৮ রমজান মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রতিদিন শতাধিক এতিম ও মাদ্রাসার ছাত্র ছাড়াও প্রায় ১ হাজার মানুষ ইফতার করেন সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম এর সাথে। এছাড়াও প্রতিদিন ৫ শত তৈরী ইফতারের প্যাকেট ভ্রাম্যমাণ রোজাদারদের নিকট বিতরণ করা হয়। প্রতিদিন ২টি কাভার ভ্যান দিয়ে পথচারী,কর্মরত শ্রমিক, পুলিশ, রিক্সা চালক ও কর্মজীবীদের নিকট পৌঁছে দেয়া হয়। সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম রোজাদার সেবা কার্যক্রম বিগত ৩০ বছর ধরেই পরিচালনা করে আসছেন। এছাড়াও তিনি প্রতি বছর রমজানে পবিত্র কাবা ও মদিনা শরীফে মসজিদে নববী এলাকায় নির্ধারিত মানুষ মারফত ইফতার ও সেহেরীর আয়োজন করে থাকেন। সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম ইফতার পূর্বক রোজাদারদের উদ্দেশ্যে বলেন, রমজান পবিত্র ইবাদত, এ রমজানে আল্লাহ তা’য়লা পবিত্র কোরআন নাজিল করেছেন। রোজার ফজিলত বর্ণনা করে শেষ করা যাবেনা। আমি এবং আমার পরিবার মানব সেবার ব্রত নিয়ে ব্যবসা বাণিজ্যসহ সব ধরনের কাজে নিয়োজিত আছি। পবিত্র ইসলামের খেদমতের সুযোগ পেয়ে আমরা আল্লাহ’র দরবারে শুকরিয়া আদায় করি। আমাদের সকল সেবা আল্লাহ ও রাসুলের সন্তোষ্টির জন্য। তিনি পবিত্র রমজানে ধৈয্য ধারণ করে ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে জীবন অতিবাহিত করার সুযোগকে যথাযথ ভাবে বাস্তবায়ন করার পরামর্শ দেন।