বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হলো লন্ডনে

যুক্তরাজ্যের (ইউকে) বাংলাদেশ ও ভারতের হাইকমিশন যৌথভাবে লন্ডনের একটি বিশিষ্ট থিয়েটারে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রের বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।

বিশেষ প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখছেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম

গৌরবময় ‘বিজয়ের মাস’ ও বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্ব উদযাপনের জন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে তরুণ ব্রিটিশ-বাংলাদেশি ও ব্রিটিশ-এশীয়দের একটি পূর্ণাঙ্গ হাউজ অংশ নিয়েছে।bsrm

ব্রিটিশ হাউজ অব লর্ডসের সদস্য, কূটনীতিক, ব্রিটিশ শিক্ষাবিদ, পেশাদার ও মূলধারার সাংবাদিকরাও সোমবার সন্ধ্যায় বিশেষ প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ও বায়োপিকের প্রধান উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম ও যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কে দোরাইস্বামী।ads din

অনুষ্ঠানে ডক্টর গওহর রিজভী বলেন, ‘চলচ্চিত্রটি একটি ঐতিহাসিক দলিল-যা বঙ্গবন্ধুর জীবনকাহিনী ও দীর্ঘ সংগ্রামের সারমর্মকে ফুটয়ে তুলেছে।’

তিনি উল্লেখ করেন, আড়াই ঘণ্টার চলচ্চিত্রে আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত পরিচালক শ্যাম বেনেগাল  বঙ্গবন্ধুর জীবন, সংগ্রাম ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য আত্মত্যাগের দীর্ঘ ইতিহাসকে সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন।

হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম তার স্বাগত বক্তব্যে  ২০১৭ সালের এপ্রিলে নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউজে একটি অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও উত্তরাধিকারের ওপর বায়োপিক তৈরির পরিকল্পনা যৌথভাবে ঘোষণা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, ‘এই বায়োপিক দক্ষিণ এশিয়ার একজন নেতার অসাধারণ জীবন তুলে ধরেছে যিনি বাংলাদেশ ও দেশের জনগণের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিলেন। ২০০৪ সালে বিশ্বব্যাপী একটি চালিয়েছিল বিবিসি। যেখানে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু। নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেনও তাকে ‘বিশ্ববন্ধু’ আখ্যা দিয়েছেন।’

ভারতীয় হাইকমিশনার দোরাইস্বামী তার বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সংযোগ ও চলচ্চিত্রে অবদানের কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর মহাকাব্যিক সংগ্রামের গল্প ছাড়া বাংলাদেশের গল্প বলা যায় না।’ সিনেমাটির গুরুত্ব ও কীভাবে এটি বাংলাদেশের অতীত সম্পর্কে জানার ও ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে ইতিহাস জানার দ্বার উন্মোচন করে সে বিষয়ের ওপরেও তিনি জোর দিয়েছেন।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিব বর্ষ’ উপলক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ ও ভারত যৌথভাবে ছবিটি তৈরি করেছে। ভারতের বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল ছবিটি পরিচালনা করেছেন।

ছবিটি বাংলাদেশে ১৩ অক্টোবর মুক্তি পায় ও ভারতে মুক্তি পায় চলতি বছরের ২৭ অক্টোবর।

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও