শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

ডা. এখলাছ উদ্দিনের সমস্ত জীবনী শিক্ষণীয়

সাদিয়া তাজিন *
সোমবার (২৭ নভেম্বর ২০২৩)সকাল ৯:৩০ মিনিটে চট্টগ্রাম নগরীর একটি হাসপাতালে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করে পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেন ডা. এখলাছ উদ্দিন।
উত্তর চট্টগ্রামের বরেণ্য প্রবীণ আওয়ামী লীগ রাজনীতির শুদ্ধসাধক ডা. এখলাছ উদ্দিন একজন স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। ষাট’র দশক হতে যিনি সুদীর্ঘ বৃহত্তর আওয়ামী রাজনীতিতে একজন নিষ্ঠাবান সংগ্রামী মানুষ হিসেবে আলোচিত ও জনপ্রিয়। তিনি সমাজ, রাজনীতি, রাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে কালোত্তীর্ণ মতামত প্রকাশ করতেন। তাঁর সেই আবেগ ও অনুভূতিগুলোর আবেদন যেন চিরন্তন।
বহু পরিচয়ে পরিচিত ডা. এখলাছ উদ্দিন একাধারে একজন চিকিৎসক,ভাষা সৈনিক,মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক এবং একজন আলোকিত উন্নয়ন সংগঠক। যিনি ব্যক্তিগত সমীকরণ দিয়ে কখনও দেশ নিয়ে ভাবনা করেননি। তাঁর সাথে গঠনমূলক আলাপচারিতায়, ব্যক্তি যোগাযোগে, কর্মে, সংগ্রামে, সংগঠনে, আন্দোলনে তাঁর সাহস ও গভীর দেশপ্রেম প্রকাশ পেতো।
শৌর্য-বীর্য,আত্নত্যাগ ও নেতৃত্বের পরীক্ষায় বরাবরই উত্তীর্ণ ডা. এখলাছ উদ্দিন জাতিসত্তা সুরক্ষায় স্বভূমি তথা মাতৃভূমিতে বার বার মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকবার জন্য সক্রিয় উদ্যমী হয়ে সংগ্রাম করেছেন।

তারুণ্যে- যৌবনে, পৌঢ়ত্বে কিংবা জীবন সায়াহ্নে বিধ্বস্ত শরীরে একই সত্যে মহীয়ান এই প্রত্যয়ী পুরুষ। প্রপাতের ভয় ছিল না।মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি বেসরকারী সমাজ উন্নয়ন সংস্থার একজন নিবেদিত প্রাণ প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিরলস ও অনবদ্য ভূমিকা পালন করেন। তিনি সঙ্গী-সাথী, বন্ধুদের, আত্নীয়-স্বজনকে কিংবা যারা কাছাকাছি কাজে কর্মে, কারণে,বিহারে এমনকি সমাজ উন্নয়নের স্তরে স্তরে প্রতিটি কর্মে যারা সহকর্মী ও সহযোদ্ধা তাদের বিমুগ্ধ – সাহচর্য প্রদানকারী। তারুণ্য থেকে মৃত্যূর পূর্বক্ষণ পর্যন্ত মানবকল্যাণে মহা ব্যস্ততায়,কর্মসাধনায় সময় অতিবাহিত করেছেন।
চাকুরী সূত্রে উনার সাথে আমার পরিচয় ও পরিবারের সাথে আন্তরিকতা গড়ে উঠে। আমার কাছে তাঁর সমস্ত জীবনী এক শিক্ষণীয় স্বতঃসিদ্ধ অধ্যায়ের মত। তাঁর জীবনী আগামী প্রজন্মের কাছে তাদের ভবিষ্যৎ জীবন পথে উৎসাহব্যাঞ্জক হবে বলে মনে করি। আংকেলকে আমি খুব মিস করব। আমাকে খুব স্নেহ করেছেন। তাঁর মৃত্যুতে আমি গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করছি। আল্লাহ উনাকে বেহেশতের উচ্চ মাকামে অধিষ্ঠিত করুন । আমিন।
লেখক- উন্নয়ন সংগঠক।

bsrm

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও