পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি *
দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়ার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ কুসুমপুরা স্কুল এন্ড কলেজের উদ্যোগে শীতকালীন পিঠাউৎসব ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরষ্কার এবং নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যকে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভা কুসুমপুরা স্কুল এন্ড কলেজের গভনিং বডির সভাপতি মোহাম্মদ এমরানের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র শিক্ষক রুপন কান্তি বড়ুয়ার সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ২৮৯ চট্টগ্রাম পটিয়া-১২ সংসদীয় আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য ও জনপ্রসাশন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্হায়ী কমিটির সদস্য মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান চেমন আরা তৈয়ব, পটিয়া উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ডা. তিমির বরন চৌধুরী, পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নাছির উদ্দিন, কুসুমপুরা ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান জাকারিয়া ডালিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবু সুফিয়ান টিপু, সহ-প্রচার সম্পাদক কাজী মো: মোরশেদ, কুসুমপুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. এম হোসেন রানা, অধ্যক্ষ নেজামুল ইসলাম।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, কুকুসুমপুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নজরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি হাজী কামাল, আলহাজ্ব খোরশেদ আলম মেম্বার, ফজলুল কাদের হিরো মেম্বার, হাফেজ আইয়ুব, মো. ইসহাক, আকবর আলী, মিজানুর রহমান, হাসানুজ্জামান, যুবলীগ নেতা মাঈনুদ্দিন চৌধুরী, মহিউদ্দিন সুমন, আবু হেনা টিটু, সোহেল মাহমুদ চৌধুরী, দিদারুল আলম, জিয়া উদ্দিন বাবলু, এমরান, আবু তৈয়ব প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বক্তব্যে মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি বলেন, বাঙালীর ইতিহাস ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ পিঠা উৎসব। সময়ের তালে আমরা সবাই এখন যন্ত্রনির্ভর হয়ে পড়েছি। আর এর মাধ্যমে আমরা হারাতে বসেছি হাজার বছরের ঐতিহ্য হাতে তৈরি পিঠা-পুলির কার্যক্রম। বর্তমান প্রজন্মের স্মার্ট বাংলাদেশ স্মার্ট শিক্ষার্থীদের এ ব্যাপারে আরো সচেষ্ট হওয়ার আহবান করছি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় সম্পর্ককিত স্হায়ী কমিটির সদস্য মোতাহেরুল ইসলাম আরো বলেন, আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের জন্য নৈতিক মূল্যবোধকে ধারন করে শিক্ষিত হতে হবে।শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকাশে বিদ্যালয় গভর্নিং বোর্ডের উদ্যোগে এ আয়োজন প্রশংসনীয়। একটি মানসম্মত প্রতিষ্ঠান হিসেবে কুসুমপুরা স্কুল অ্যান্ড কলেজ সর্বত্র গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। একটি আলোকিত সমাজের জন্য আলোকিত মানুষ প্রয়োজন। আলোকিত মানুষ এমনিতেই তৈরি হয়না। তার জন্য পরিকল্পনা, প্রচেষ্টা ও সাধনা প্রয়োজন। কুসুমপুরা স্কুল অ্যান্ড কলেজ এই সবগুলোর অনুসরণে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বিগত দিনে একাডেমিক ফলাফল এবং শিক্ষাসহযোগী কার্যক্রমে তার ফলাফল বিদ্ধমান।
অনুষ্ঠান শেষে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।