আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আসন্ন নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৮ আসনে নমিনেশন দেওয়া হলেও শরিকদের জন্য ১০০ আসন ছেড়ে দেয়া হবে।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে ধানমন্ডি আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করে আমরা প্রমাণ করে দেব নিরপেক্ষতার। এরপর দেশি-বিদেশি নানা জল্পনা-কল্পনা, ষড়যন্ত্র বন্ধ হবে।তিনি বলেন, ১৪ দলীয় জোটে কারা কারা নমিনেশন চায়, আমাদের আগে বুঝতে হবে। তাদের সঙ্গে আমাদের জোট আছে। ১৪ দল কারা কারা প্রার্থী সেটা দেখি। আগামী ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত আমাদের হাতে সময় আছে। আমরা অবজারভ করব।
এ সময় তিনি বলেন, নির্বাচনের আচরণবিধি মানার জন্য আওয়ামী লীগের সব প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে—এমন প্রার্থীদের স্বতন্ত্র নির্বাচন ও জোটের প্রার্থীদের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের কৌশল আছে, শিগগিরই তা জানানো হবে বলে জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ালে বিশৃঙ্খলা হবে কিনা— জানতে চাইলে তিনির বলেন, ‘আমরা দেখছি কারা কারা (নির্বাচনে অংশ নিতে) চাইছে। আমাদের কৌশলগত সিদ্ধান্ত আছে, ১৭ তারিখ পর্যন্ত সময় আছে। এর ভেতরে আমরা পরিবর্তন, সংশোধন করতে পারবো। আমাদের কৌশলগত দিক থাকবে।’
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপিকে নির্বাচনে আনার কৌশল আওয়ামী লীগের নেই। তারা আসলে আমাদের আপত্তি নেই, আসলে স্বাগতম। তাদের দলের কেউ কেউ আসতে পারেন। কেউ কেউ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করছেন। ৩০ তারিখের পর সব ঠিক হয়ে যাবে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, অর্থবিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।