দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে গড়ে ৪০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। তবে এটি নির্ভর যোগ্য তথ্য নয়। এটি আরও বাড়তে পারে আবার নাও পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
জাতীয় নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচন কমিশন ভবনে রবিবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে তাৎক্ষণিক এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সিইসি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। তবে পুরোপুরি সফল হয়েছি তা বলব না।’
সিইসি বলেন, ‘অনেকে ধারণা করেছিলেন, ভোটার উপস্থিতি হয়ত কম হবে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘একটি বড় পক্ষ নির্বাচন বর্জন করে প্রতিহতের ঘোষণা। তারপরও আমরা অবাধ-সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে পেরেছি।’
সিইসি আরও বলেন, ‘ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন। সামান্য অভিযোগ ছাড়া সবাই প্রশাসনের বিষয়ে আস্থার কথা বলেছেন।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘সরকার এই নির্বাচনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে। সরকার সহযোগিতা করেছে বলেই দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠুভাবে ভোট সম্পন্ন করার সম্ভব হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভোটের প্রথম দিকে প্রশাসন নিয়ে অনেকের মধ্যে অনাস্থা ছিল যে, দলীয় সরকারের প্রশাসনের মাধ্যমে ভোট সুষ্ঠু হবে না। তবে আমরা প্রশাসনে ব্যাপকভাবে রদবদল করায় প্রশাসন অত্যন্ত নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করেছে। নির্বাচন কমিশনকে প্রশাসন সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে।’
নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়েছে কি না সাংবাদিকদের প্রশ্নে সিইসি বলেন, ‘সেটি আমি বলতে পারব না। তবে নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে।’