রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ

ফলোআপ: অবশেষে ফজলুল্লাহমুক্ত হলো চট্টগ্রাম ওয়াসা 

মোহাম্মদ ইউসুফ

অবশেষে ফজলুল্লাহমুক্ত হলো চট্টগ্রাম ওয়াসা। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্থানীয় সরকার পল্লীউন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আবদুর রহমান স্বাক্ষরিত ৩০ অক্টোবর ২০২৪ তারিখের এক পরিপত্রে  চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে  তাকে  এমডি পদ থেকে অপসারিত করা হয়েছে। আট মেয়াদের ৮২ বছরবয়সী চট্টগ্রাম ওয়াসার বহুল আলোচিত ও সমালোচিত এমডি প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ’র দুর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখালেখা করেও কোনো কাজ হয়নি। চাটগাঁর বাণীতেও তাকে নিয়ে কয়েকদফা লেখা হয়েছে। তার ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি নিয়ে অতীতে বিভিন্ন সময়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ করা হলেও কেউ তাকে ঘাটাতে সাহস করেনি। আদালতের নির্দেশনার পরও  চট্টগ্রাম-১ দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্তারা ছিলেন নির্বিকার। ওয়াসা বোর্ড ছিলো তার পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণে।  বোর্ড চেয়ারম্যান তার সুপারিশে নিয়োগ-পুনর্নিয়োগ লাভ করেছেন। বোর্ডসদস্যরা অন্ধভাবেই  তার (এমডির) মেয়াদ আটবার বাড়িয়েছেন। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিদের সাথে এমনসম্পর্ক তিনি গড়ে তুলেছেন আওয়ামী লীগ সরকারের পট পরিবর্তন না হলে প্রকৌশলী ফজলুল্লাহ আমৃত্য চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি পদে থাকতেন। তবে বিধি বাম! রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার পট পরিবর্তনের ফলে টানা ১৪বছর এমডি পদে দায়িত্ব পালনের ইতি টানতে হচ্ছে তাকে। এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার, পল্লীউন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে – এমন খবর পাওয়া গেছে।

প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে অবসর নেন ২০০০ সালে। ১৯৯৮ সালে অবসর নেন  নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের ৬ জুলাই প্রথমবার চট্টগ্রাম ওয়াসা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে এক বছরের জন্য নিয়োগ পান। এরপর আরও এক বছর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১১ সালে ঢাকা ওয়াসার আদলে চট্টগ্রাম ওয়াসাতেও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ তৈরি করা হয়। ওয়াসা বোর্ডও পুনর্গঠন করা হয়। তখন এমডি পদে নিয়োগ পান তৎকালীন চেয়ারম্যান প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ। সেই থেকে  এখন পর্যন্ত এমডি পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তার আমলে পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পাঁচটি বড় প্রকল্প নেয়া হয়। কোনও প্রকল্পের কাজই নির্ধারিত মেয়াদে শেষ হয়নি। ব্যয়ও বাড়াতে হয়েছে তিনটির। নগরে পানি সঙ্কটও কাটেনি। অভিযোগ আছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রভাব খাটিয়ে ওয়াসায় দুর্নীতির সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন ফজলুল্লাহ। সেবার নামে মানহীন পানি সরবরাহ করে লুট করেছেন বিপুল পরিমাণ অর্থ। এমনকি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম ওয়াসায় প্রতি বছর ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ পানির সিস্টেম লস দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের।bsrm

প্রকৌশলী ফজলুল্লাহ চট্টগ্রাম ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী থাকা অবস্থায় কর্তব্যে অবহেলার জন্যে বরখাস্ত হন । চট্টগ্রাম ওয়াসা থেকে অবসর নিয়ে তিনি সোস্যাল সেভিংস এন্ড কো- অপারেটিভ ক্রেডিট লিমিটেড নামক একটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হন। এখানে সাধারণ গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১/১১ এর সময় দুদফা গ্রেপ্তার হয়ে জেলের ঘানি টানেন। জনগণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে এখনো চট্টগ্রাম ও ঢাকায় ৬টি মামলা রয়েছে। দুর্নীতিদমন বিভাগেও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে- যা ধামাচাপা দিয়ে রেখেছেন। চট্টগ্রাম ওয়াসায় কর্মরত দেশি-বিদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে ৫%-৮% টাকা ঘুস নিয়ে আমেরিকায় পাচারের অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁর কাছে আমেরিকার গ্রীনকার্ড আছে, আছে সেকেন্ড হোম। তাঁর দুর্নীতির  একমাত্র সহযোগী ওয়াসার শ্রমিকনেতা তাজুল ইসলাম- যিনি সকল অবৈধ কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করেন। তিনি ওয়াসা’র অঘোষিত এস্টেট অফিসার।নিয়মনীতি ছাড়া কর্মচারিদের বাসা বরাদ্দ দেয়া,পানির অবৈধ লাইনসংযোগ সবকিছুই তাজুল ইসলামের নিয়ন্ত্রণে। চট্টগ্রাম ওয়াসায় তিনি  দু’শতাধিক কর্মচারি নিয়োগ দিয়েছেন-যাদের অধিকাংশের বাড়ি কুমিল্লা ও নোয়াখালী। মন্ত্রী-এমপি ও উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নামভাঙ্গিয়ে তিনি লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সরকার পতনের পর তাজুল ইসলাম অফিসে আসেন না।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম ওয়াসার জন্যে ১৩হাজার কোটি টাকার প্রকল্প দিলেও নগরবাসী তার সুফলের বদলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। পাইপলাইনের কাজে অনিয়ম-দুর্নীতি, বিভিন্ন রাস্তা একাধিকবার খোঁড়াখুঁড়ি,পানি উৎপাদনের অসত্য তথ্য প্রচার, ভুয়া ও ভুতুড়ে পানির বিল দিয়ে গ্রাহক হয়রানি,বাইপাস লাইনে অবাধে পানিচুরি, দফায় দফায় পানির দাম বৃদ্ধি, জেনারেটর, পাম্পকেনা, সংস্কারসহ নানান অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা লেগেই আছে। পানি শোধানাগার ও পাম্পহাউজগুলোতে ডিজিটাল মিটার স্থাপন করা হয়নি। ফলে এখানে পানি উৎপাদনের সঠিক পরিসংখ্যান নেই। প্রতিদিন ৩০/৪০ কোটি লিটার পানি উৎপাদনের মনগড়া তথ্য পরিবেশন করা হয়। ২০১৬ সালের ১ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা এলাকায় কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প এলাকায় সংবাদ সম্মেলনে এমডি ফজলুল্লাহ  ঘোষণা দিয়েছিলেন, ২০২০ সালের মধ্যে চট্টগ্রামবাসী ২৪ঘণ্টা নিরাপদ পানি পাবেন কিন্তু তা ঘোষণাতেই সীমিত। পানি ঘাটতি এখনো আছেই। প্রতিদিন পানির চাহিদা গড়ে ৪২ কোটি লিটার হলেও ঘাটতি রয়েছে ৬কোটি লিটার। এখনো ৫/৬টি ওয়ার্ডে বিশেষকরে দক্ষিণ পাহাড়তলী, জালালাবাদ, উত্তর ও দক্ষিণ পতেঙ্গা ও বাকলিয়া এলাকায় (আংশিক) ওয়াসার পানি সংযোগ নেই। নিরাপদ পানির ভোগান্তি দূর করতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন এমডি ফজলুল্লাহ। অনিয়ম ও অব্যবস্থার কারণে প্রকল্পগুলোর ব্যয় বেড়েছে ‍দ্বিগুণ, বেড়েছে সময়; কাজ শেষ হতে চায় না।ফজলুল্লাহ ২০১১ সালে এমডি হওয়ার পর চট্টগ্রাম ওয়াসা ৪টি প্রকল্প হাতে নেয়। এর একটি হচ্ছে, ‘ভান্ডালজুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্প’। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১হাজার ৩৬কোটি ৩০লাখ টাকা।কাজ দেরিতে শুরু হওয়ায় ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১হাজার ১৯৫কোটি ২৪লাখ টাকায়। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এর সম্ভাব্য সময় ধরা হয়েছে এখন ২০২৩সাল পর্যন্ত।

এদিকে অবসরে যাওয়ার পরও ওয়াসার এমডির ব্যক্তিগত সহকারী দিদারুল আলম এবং ওয়াসার মেডিক্যাল অফিসার ডা. মোসলেহ উদ্দিনের চুক্তিতে নিয়োগের মেয়াদ বাড়িয়েছেন এমডি। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে অবসর উত্তর ছুটিতে যান দিদারুল আলম। চলতি বছরের ১৪ মার্চ অনুষ্ঠিত ওয়াসার বোর্ড সভায় তাকে চুক্তিতে নিয়োগের প্রস্তাব দেন এমডি ফজলুল্লাহ। দিদারকে এক বছরের জন্য অথবা নতুন কর্মচারী নিয়োগ না দেওয়া পর্যন্ত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়। দিদারুল আলমের পদ সাঁটলিপিকার ও কম্পিউটার অপারেটর হলেও এমডির পিএ হিসেবে কাজ করেন।ads din

অপরদিকে, ২০২২ সালের ৩০ জুন অবসর উত্তর ছুটিতে যান ওয়াসার মেডিক্যাল অফিসার ডা. মোসলেহ উদ্দিন। একই বছরের ৬ জুলাই ওয়াসার বোর্ড সভায় তাকে ছয় মাস অথবা নতুন মেডিক্যাল অফিসার নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়। এরপর এখন পর্যন্ত নতুন মেডিক্যাল অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়নি। চুক্তি অনুযায়ী তিনি বেতন পান এক লাখ ৫০০ টাকা। অথচ অবসরে যাওয়ার আগে সর্বশেষ মাসে তিনি বেতন উত্তোলন করেছেন ৮৮ হাজার ৭৩৫ টাকা করে। শুরু থেকে এমডি ফজলুল্লাহকে এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা বেতন দেয়া হয়। ২০১৬ সালে বেতন বৃদ্ধির আবেদন করলে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা করা হয়। এ ছাড়া বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা, আপ্যায়ন ও বিশেষ ভাতাসহ মোট তিন লাখ ১৭ হাজার টাকা পান।

চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি-সঙ্কট কাটাতে না পারলেও দাম ঠিকই বাড়িয়ে দিয়েছেন এ কে এম ফজলুল্লাহ। তাঁর আমলে প্রায় প্রতিবছরই পানির দাম বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ  আবাসিকে ৩০ শতাংশ ও বাণিজ্যিকে ৫০ শতাংশ পানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন এমডি। এ জন্য কমিটিও করে দিয়েছিলেন তিনি। অথচ গ্রাহকের কাছে পানি বিক্রি করে প্রতিবছরই কোটি কোটি টাকা লাভ করে সংস্থাটি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তিন বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রথম পয়োনিষ্কাশন প্রকল্পের কাজ শেষ না হলেও একই ধরনের আরও পাঁচটি প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ওয়াসার বোর্ড সদস্য, কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীরা বলছেন, সিস্টেম লস বা কারিগরি ত্রুটি ও পানি চুরি কমানো যায়নি। ওয়াসা এখন যা উৎপাদন করে, তার ৩০ ভাগ পানিই গ্রাহকের কাছে পৌঁছায় না। প্রায় ১৪ কোটি লিটার পানি নষ্ট হয়। আর্থিকভাবে বছরে ১৪২ কোটি টাকা গচ্চা দিতে হয়। সংকটের সমাধান না হলেও এ কে এম ফজলুল্লাহর আমলে ১৩ বার পানির দাম বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে গত বছর একলাফে ৩৮ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়। এ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি। এ ব্যাপারে এ কে এম ফজলুল্লাহ তখন জানিয়েছেন, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার আগে পানির উৎপাদন ছিল মাত্র ১৪ কোটি লিটার। সেই ১৪ কোটিকে তিনি ৫৬ কোটিতে নিয়ে গেছেন। তার সময়ে নতুন নতুন পানি শোধনাগার চালু হয়েছে। তবে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় পানির দাম বাড়ানো হয়েছে।

প্রকৌশলী  ফজলুল্লাহ ২০১১ সালে এমডি হওয়ার পর পানি সরবরাহে চারটি বড় প্রকল্প নেয়া হয়। প্রকল্পগুলো হলো, কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প (প্রথম পর্যায়), কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়), চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ উন্নয়ন ও পয়োনিষ্কাশন প্রকল্প (সিডব্লিউএসআইএসপি) ও ভান্ডারজুরী পানি সরবরাহ প্রকল্প। ঋণের টাকায় নেওয়া এ চার প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ১০ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। কোনোটিই নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি। দুটিতে ব্যয় বেড়েছে ১ হাজার ৭১২ কোটি টাকা। এর মধ্যে সিডব্লিউএসআইএসপি ও ভান্ডারজুরী পানি সরবরাহ প্রকল্পের ঠিকাদার হলো দক্ষিণ কোরিয়ার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তেইয়ং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড।অন্যদিকে নগরে পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে ২০১৮ সাল থেকে ৩ হাজার ৮০৮ কোটি ব্যয়ের একটি প্রকল্পের কাজ করছে ওয়াসা। ২০২৬ সালের আগে কাজ শেষ হবে না। ব্যয়ও বাড়বে। এ প্রকল্পের ঠিকাদারও  তেইয়ং। অর্থাৎ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি তিন বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রথম পয়োনিষ্কাশন প্রকল্পের কাজ শেষ না হলেও একই ধরনের আরও পাঁচটি প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

প্রকল্প শেষ হওয়া সত্ত্বেও প্রকল্পে নিয়োজিত দেখিয়ে ওয়াসার ফান্ড থেকে ২৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বেতন দিচ্ছেন এমডি। কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প (ফেইজ-২) এবং চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ উন্নয়ন ও স্যানিটেশন প্রকল্প শেষ হওয়ার পরও মোট ২৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে রাজস্ব বাজেট কোড থেকে বেতন ভাতাদি বাবদ এক কোটি ৮৬ লাখ তিন হাজার ৮২০ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। যেখানে প্রকল্প শেষ, চাকরিও শেষ হওয়ার কথা থাকলেও চাকরিতে বহাল রেখে রাজস্ব খাত থেকে অনিয়মিতভাবে বেতন ভাতাদি পরিশোধ করা হচ্ছে।ওয়াসার দুটি প্রকল্পের মধ্যে চিটাগাং ওয়াটার সাপ্লাই ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড স্যানিটেশন প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয় ২০১৮ সালের জুনে এবং কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্পের (ফেইজ-২) মেয়াদ শেষ হয় ২০২৩ সালের জুনে। প্রকল্প দুটি শেষ হলেও একক ক্ষমতাবলে দুর্নীতির মাধ্যমে কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প (ফেইজ-২) নিয়োজিত ২৬ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে পুনর্বহাল করেন এমডি।

লেখক- প্রধান-সম্পাদক, সাপ্তাহিক চাটগাঁর বাণী ও চাটগাঁরবাণীডটকম

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও