তরুণ প্রজন্মের কাছে শহিদ বুদ্ধিজীবী এবং মুক্তিযোদ্ধাদের ভূমিকাকে তুলে ধরতে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী বধ্যভূমি সম্প্রসারণের ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে কাউন্সিলরদের সাথে বদ্ধভূমিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর মেয়র বলেন, মুক্তিযুদ্ধ শেষে ১৮ ডিসেম্বর এই বধ্যভূমিতে পাক হানাদার বাহিনীর নির্মমতায় প্রাণ হারানো শহিদদের লাশ দেখেছি। হীনস্বার্থে ভূমিখেকোরা জায়গা দখল করতে করতে পাহাড়তলী বধ্যভূমিকে সংকুচিত করে ফেলেছে। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে চট্টগ্রামের বধ্যভূমির সম্প্রসারণ অত্যন্ত প্রয়োজন।
“একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তরুণদের জন্য মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন রক্ষার্থে বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সংস্কৃতিকর্মী, সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে একটি কমিটি করব। কমিটির সুপারিশক্রমে পাহাড়তলী বধ্যভূমিকে সম্প্রসারিত করব।”
এসময় মেয়র রেজাউলের সাথে শহিদদের শ্রদ্ধা জানান প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, মোহাম্মদ জাবেদ, হাসান মুরাদ বিপ্লব, মো. জহুরুল আলম জসিম, গাজী মো. শফিউল আজিম, ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, মো. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ ইসমাইল, আবদুস সালাম মাসুম, আবুল হাসনাত মো. বেলাল, গাজী মো. শফিউল আজিম, মো. শেখ জাফরুল হায়দার চৌধুরী, নূর মোস্তফা টিনু, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর তছলিমা বেগম নুরজাহান, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা, উপ-সচিব আশেকে রসুল টিপু, নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন, আশিকুল ইসলাম, মীর্জা ফজলুল কাদেরসহ সিবিএ নেতৃবৃন্দ।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চসিকের কর্মসূচি
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে চসিকের কাউন্সিলর এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গণস্থ অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন।
এরপর সকাল ৭ টায় টাইগারপাসস্থ চসিক নগর ভবন চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ, সকাল ৮টা ১ মিনিটে চট্টগ্রাম কলেজ সংলগ্ন প্যারেড মাঠে কর্পোরেশনভুক্ত স্কুল-কলেজ সমূহের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমাবেশ, সকাল সোয়া ৮টায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা ও কর্পোরেশনের পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও কবুতর উড়ানোর পর সকাল ৮:৪০ মিনিটে ভাষণ দিবেন মেয়র।
সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে প্যারেড পরিদর্শন এবং কর্পোরেশনভুক্ত স্কুল-কলেজ সমূহের স্কাউট, গাইড, রোভার-রেঞ্জার ও ক্লাব দলের কুচকাওয়াজ ও সালাম গ্রহণ করবেন মেয়র। সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করবেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে ছাত্র-ছাত্রীদের ডিসপ্লে অনুষ্ঠান, সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে সমাবেশ স্থলে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে এবং চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করা হবে। বিজয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট হলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠান সমূহে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।