নিজস্ব প্রতিবেদক *
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে জনতা ব্যাংকের তামাই শাখার ভল্ট থেকে ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেলে জনতা ব্যাংক সিরাজগঞ্জ শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) নজরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘তামাই শাখার লেনদেন নিয়ে আমাদের কিছুটা সন্দেহ হয়। এজন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ আমরা গতকাল ব্যাংকে গিয়ে অডিট করি। তাতে পাঁচ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকার গরমিল পাওয়া যায়। এসময় ওই শাখার ব্যবস্থাপক, সহকারী ব্যবস্থাপক ও অফিসারের কাছে জানতে চাইলে তারা এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। পরে আমি বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে বেলকুচি থানায় একটি মামলা করি। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। যেহেতু বিষয়টি টাকা লেনদেন সংক্রান্ত। এজন্য অভিযোগটি দুর্নীতি দমন কমিশনেও (দুদক) পাঠানো হয়েছে।’
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- তামাই জনতা ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক ও সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ধানবান্ধী মহল্লার হারান শেখের ছেলে আল-আমিন (৪২), সহকারী ব্যবস্থাপক ও বগুড়ার ধুনট থানার বেলকুচি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে রেজাউল করিম (৩৪) এবং ব্যাংক অফিসার ও সিরাজগঞ্জ বনবাড়িয়া কাদাই গ্রামের জিয়াউল হকের ছেলে রাশেদুল ইসলাম (৩১)।
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় রবিবার (২৪ মার্চ) রাতে মামলা হওয়ার পর ব্যাংকের তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’