মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

শীতের কারণে নতুন করে বন্ধ ঘোষণা যেসব জেলার স্কুল

নিজস্ব প্রতিবেদক *

তীব্র শীতের কারণে নতুন করে পাঁচ জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মূলত তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।bsrm

পাঠদান বন্ধ হওয়া জেলাগুলো হলো নওগাঁ, নাটোর, পাবনা, নীলফামারী ও লালমনিরহাট। এরমধ্যে চলতি মৌসুমে নওগাঁয় সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এ অবস্থায় জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যাওয়ায় জেলার সরকারি ও বেসরকারি সক স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তাপমাত্রা না বাড়লে ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বলেন, জেলার সব সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসা বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাপমাত্রা অব্যাহতভাবে ১০ ডিগ্রির নিচে থাকলে নতুন নির্দেশনা দেওয়া হবে।ads din

নাটোরে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে আসার শঙ্কায় সোমবার (২২ জানুয়ারি) নাটোর জেলার সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসার পাঠদান বন্ধ রয়েছে। তবে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে এবং যথারীতি ক্লাস চলবে।

পাবনা জেলায়ও প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সোমবার (২২ জানুয়ারি) বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক আসাদুজ্জামান বলেন, ১০ ডিগ্রির নিচে আবহাওয়া হওয়ার জন্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

একই কারণে লালমনিরহাটে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান স্থগিত করেছে শিক্ষা বিভাগ। এরমধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয় সোম ও মঙ্গলবার দুই দিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ বলেন, জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া তীব্র শীত, কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের কারণে নীলফামারীর সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সোমবার (২২ জানুয়ারি) ও মঙ্গলবার পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। নীলফামারীতে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

এর আগে, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে সংশ্লিষ্ট জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর।

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও