জলাবদ্ধতা নিরসনে নগরীর আগ্রাবাদের নাছির খালের খনন কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বীর প্রতীক ফারুক-ই-আজম।
শবিবার উদ্বোধন ও নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসণের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, আমরা সবাই অনেক রকমের চেষ্টা চালাচ্ছি যাতে জলাবদ্ধতা থেকে আপনারা নিষ্কৃতি পান। সেটা পেতে হলে আপনাদেরও সহযোগিতা লাগবে। আপনাদের অংশগ্রহণ লাগবে। কারণ অনেক ময়লা ড্রেনে আসতেছে যেগুলো আসার কথা না। বালিশ, কাথা, কম্বল নানান জিনিস ড্রেনে ফেলছে মানুষ। এগুলি তো এখানে ফেলার কথা না। এগুলা সিটি কর্পোরেশনের ময়লার জায়গায় ফেলেন।
“আপনারা এলাকাতে যে কমিটিগুলো আছে আপনারা কমিটির মাধ্যমে ঘরে ঘরে গিয়ে সচেতন করেন যাতে ময়লাটা আপনারা এক জায়গায় রাখবেন। ওখান থেকে সিটি কর্পোরেশন কালেক্ট করে নিয়ে যাবে। আপনাদের ময়লার সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।এই শহর আপনার, এই শহর আমাদের সবার। এখানে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার অধিকার আমাদের সবার আছে। একজনের জন্য দশজন কষ্ট পাবে সেটা যেন না হয়।
পরিদর্শনকালে মেয়র বলেন, আমরা বিভিন্ন ওয়ার্ডে যখন যাচ্ছি কাজ করার জন্য দেখতে পাচ্ছি যে সেখানে জমি অধিগ্রহণ থেকে শুরু করে যেভাবে খালটা সোজা যাওয়ার কথা ছিল সেটা আঁকাবাঁকা হয়ে গেছে। আকাবাকা কেন হয়েছে? আমরা যখন প্রশ্ন করলাম জানতে পারলাম যে আশেপাশে হয়তোবা আগেরকার যারা সরকারে ছিল এই যে আওয়ামি সরকার তাদের যে লোকজন সেখানে হয়তোবা জমি ছিল সে জমিগুলো তারা ছাড়েনি যার কারণে ওই যে পানির যে গতি প্রবাহ যেভাবে হওয়ার কথা সেভাবে হয়তোবা নাও হতে পারে। এই যে ইরেগুলারিটিসগুলো হয়েছে, ডিফরমেটিস গুলো হয়েছে সেগুলো থেকে বের হয়ে আমরা এখন নতুনভাবে আমরা এই জলাবদ্ধা নিয়ে চিন্তা করছি।
“বিশেষ করে এই তিন মাসে তো বৃহৎ কিছু করা যাবে না। যেহেতু বর্ষাকাল সামনে চলে আসছে। এপ্রিল মে’র মধ্যে বর্ষাকাল চলে আসবে। তাই আমাদের এখন কাজ হচ্ছে আমাদের যে মেইন খালগুলো আছে সেগুলো পরিষ্কার করা। আর সেকেন্ডারি ড্রেনেজ যেগুলো আছে নালা এবং এই আশেপাশে আমাদের ছোট ছড়াগুলো আছে বিভিন্ন ধরনের পাহাড়ের ছড়া এগুলো এখন পরিষ্কার করা। তাহলে হবে কি? আমরা অন্ততপক্ষে বর্ষাকালে জলাবদ্ধতার যে সমস্যা সেটা থেকে হলে কিছুটা হলেও ইনশাল্লাহ লাঘব করতে পারব।”

এদিন উপদেষ্টা আগ্রাবাদ, বারইপাড়া, চকবাজারসহ জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান কার্যক্রম পরিদর্শনের জন্য নগরীর বিভিন্ন এলাকায় যায় এবং চলমান কার্যক্রম সম্পর্কে খোঁজ নেন। বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনের পর চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন উপদেষ্টা বীর প্রতীক ফারুক-ই-আজম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীসহ বিভিন্ন সেবা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ।
জাতিকে পথ দেখাবে আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের চেতনা: উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম

আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের চেতনা জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথ দেখাবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্র্বতী সরকারের মুক্তিযুদ্ধ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বীর প্রতীক ফারুক-ই-আজম।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) উদ্যোগে এবং চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের ব্যবস্থাপনায় এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়াম মাঠে অমর একুশে বই মেলায় “সমাজ বিনির্মাণে জুলাই গণঅভ্যুত্থান প্রেরণা যোগাবে” শীর্ষক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি
বলেন, ইন্টারিম গভর্মেন্ট অত্যন্ত সীমিত সময়ের জন্য এসেছে। আমাদের সেরকম কোন রাজনৈতিক অভিলাষ নেই। এখানে পরবর্তী পর্যায়ে মানুষের ভোটে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনগুলো দেশের দায়িত্ব নেবেন। আশা করছি যে তারা এই মুক্তচিন্তাকে অবারিতভাবে লালন করবেন। জুলাই অভ্যুত্থানের এই শহীদদের দায় দায়িত্ব রাষ্ট্রের উপরে অর্পিত হয়েছে। রাষ্ট্র সেই দায় পালন করবে। পালন করতে গিয়ে প্রতিবছরই আয়োজন হবে। এইটার অঙ্গীকার অনেকদূর পর্যন্ত আমাদের বয়ে নিয়ে যাবে। এই আশা করছি যে আগামীতে যে তরুণ সমাজ আসবে তাদেরকে তাদের যে সমস্ত প্রশ্ন তার প্রশ্নের জবাব দেওয়ার জন্য সমাজ এবং রাষ্ট্রকে রাজনীতিকে প্রস্তুত থাকতে হবে। এটা একটা অভিযাত্রা। আপসহীন অভিযাত্রা যা তারা অর্জন করেছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমাদের পায়ের নিচে ছিল অবারিত বাংলা। শত্রু ছিল বাইরে। শত্রু সশস্ত্র ছিল আমরাও সশস্ত্র ছিলাম। আর এবারের এই জুলাই অভ্যুত্থানের সংগ্রাম বৈষম্যের বিরুদ্ধে। নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে। অসাম্যের বিরুদ্ধে। অহংকার-অন্ধত্বের বিরুদ্ধে। যে লড়াই লড়েছে সে লড়াই ছিল নিজের সাথে নিজের লড়াই। আমাদের সকল মন্দের বিরুদ্ধে, আমাদের সকল অসত্যের বিরুদ্ধে, অন্যায় এর বিরুদ্ধে আমাদের ন্যায়ের সংগ্রাম। এই সংগ্রাম লড়া হয়েছে প্রকাশ্যে রাস্তায় এবং অস্ত্রের বিরুদ্ধে খালি হাতে বুক পেতে দিয়ে এই লড়াই লড়েছে। এর অনন্যতা অসাধারণ। মানুষ কতটুকু ডেসপারেট হয়ে গেলে এইরকম একটা আন্দোলন, এরকম একটা সংগ্রাম সৃষ্টি করতে পারে। আর সেই সংগ্রামে সশস্ত্র শক্তিকে উৎখাত করে দিতে পারে। এটা একটা বহুকাল ধরে আমাদের জাতিকে এর চেতনা অগ্রবর্তী করবে। এগিয়ে নিয়ে যাবে। বইমেলার মধ্যে নানান আঙ্গিকে এর প্রতিবাদ হবে। আমরা সেই আশা করছি।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে আমরা কথা দিচ্ছি আগামীতে এটা একটা লেখক নির্ভর বইমেলা হবে। আমরা বাংলাদেশের সব লেখককে ইনভাইট করব এবং তাদেরকে আমরা বলব যে তাদের বইগুলো যাতে তারা এখানে প্রকাশিত করে এবং এখানে তারা ডিসপ্লে করে। আমরা ট্রাই করছি একটা নতুন কিছু হয়তোবা ইনশাল্লাহ আমরা করব। ভবিষ্যতে আরো গোছালো, বৃহৎ পরিসরের বইমেলার আয়োজন করা হবে। এই ধরনের চিন্তাভাবনা নিয়ে আমরা আগাচ্ছি। বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয়নি। বই কিনুন বই পড়ুন। জ্ঞানের ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করুন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার বলেন, দেশকে বদলানোর ১৯৭১ সালে একবার সুযোগ পেয়েছিলাম। কিন্তু আমরা আমাদের অনৈক্য দিয়ে, আমাদের বিভক্তি দিয়ে, আমাদের চুরি, লুটপাট, ডাকাতি দিয়ে সেই সুযোগ অবহেলায় হারিয়েছে। আবার আমাদের ছাত্র সমাজ আরেকবার নিজেদের জীবন দিয়ে, রক্ত দিয়ে আমাদেরকে সমাজ বিনির্মাণের আরেকটা সুযোগ এনে দিয়েছে। এই সুযোগ যদি আবার আমরা হারাই, তাহলে জাতিকে খেসারত দিতে হবে। কাজেই এই সুযোগ কিভাবে কাজে লাগাতে হবে সরকার চিন্তা করছে। যুক্তিসংতভাবে সংস্কারের মধ্য দিয়ে এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। আমাদের পরামর্শ ছিল সর্বপ্রথমে শিক্ষা সংস্কার কমিশন করার জন্য। অন্যান্য সংস্কার কমিশন গুলো শতভাগ সফলতা অর্জন করতে পারবে না যদি শিক্ষা সংস্কার কমিশন না করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক পূর্বকোণের পরিচালনা সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. ইমরান বিন ইউনুস, শাহাবুদ্দিন বাবু। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানমালায় ছিল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন স্কুল ও কলেজ শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা এবং আমন্ত্রিত আবৃত্তিশিল্পী, নৃত্যশিল্পী ও সংগীতশিল্পীদের পরিবেশনা।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যেখানেই থাকবে সংরক্ষণ করা হবে–ডা. শাহাদাত হোসেন

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাতে হোসেন বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের আমরা স্মরণ করি। আমরা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যেখানে যেখানে আছে, সেটা প্রকৃতঅর্থে সংরক্ষণ করবো। কোনো ধরনের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করতে চাই না এবং করবো না। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যেখানেই থাকবে সংরক্ষণ করা হবে।
তিনি শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রামের পটিয়া আদর্শ স্কুল মাঠে শহীদ জিয়া স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
পটিয়া উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির উদ্যোগে ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক এনামের পৃষ্ঠপোষকতায় এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়।
টূর্ণামেন্ট পরিচালনা কমিটির আহবায়ক নাজমুল হক রিপনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মোজাম্মেল হকের পরিচালনায় উদ্বোধক ছিলেন পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানুর রহমান। প্রধান বক্তা বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক এনাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন পটিয়া মৎস্য কর্মকর্তা স্বপন চন্দ্র দে, লোহাগড়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক লায়ন নাজমুল মোস্তফা আমিন।
উদ্বোধনী খেলায় চট্টগ্রাম ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও মোহাম্মদ নগর ফুটবল একাডেমী অংশগ্রহণ করেন। খেলায় পূর্নাঙ্গ সময়ে ১-১ গোলে অমীমাংসিত থাকলে পরে ট্রাই ব্রেকারে ব্রাদার্স ইউনিয়ন জয় লাভ করে। খেলা পরিচালনা করেন রেফারি নাছির সরকার।
এসময় টুর্নামেন্টটি এখন থেকে প্রতিবছরই অনুষ্ঠিত হবে বলেও ঘোষণা দেন চসিক মেয়র শাহাদাত হোসেন। এছাড়া, পটিয়ায় আরো টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে এবং সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন তিনি।
শাহাদাত হোসেন বলেন, মেয়র হওয়ার পর আমি বলেছিলাম, নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডেই খেলার মাঠ তৈরি করা হবে। ইতোমধ্যে ৭টি খেলার মাঠের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছি। আমি আমার কথা রাখার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
এতদিন বিপ্লব উদ্যানে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ জিয়ার ইতিহাসকে ভিন্নখাতে নেওয়া হয়েছিল মন্তব্য করে তিনি বলেন, পতিত আওয়ামী সরকার গত ১৬ বছর ষোলশহরস্থ বিপ্লব উদ্যানে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ জিয়ার ভূমিকাকে ভিন্নখাতে নিয়েছিল। তারা বিপ্লব উদ্যানকে জঞ্জালে পরিণত করেছিল। আমি মেয়র হওয়ার তিনদিনের মাথায় তাদের সমস্ত স্ট্রাকচার ভেঙে দিয়েছি। সঠিক ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বিপ্লব উদ্যান কেন নামকরণ হয়েছে, সেই ইতিহাস এখন থেকে নতুন প্রজন্ম জানতে পারবে।
তিনি বলেন, এভাবে স্বাধীনতা পার্কও নেওয়া হবে। এটা পাওয়ার জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেখানেও লেখা থাকবে, সেদিন শহীদ জিয়া বলেছিলেন— আমি মেজর জিয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি। এ কথাগুলো নতুন প্রজন্মের কাছে অনেকটা ম্লান হয়ে আছে, তারা জানে না। আমরা চাই তাদের জানাতে।
তিনি আরো বলেন, ১৪ ডিসেম্বরের বধ্যভূমিতে আমাদের পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবীদের যাদের ফয়’স লেকে হত্যা করা হয়েছিল, সেখানেও আমারা স্মৃতিচারণ করবো। প্রকৃত ইতিহাস সেখানে থাকবে।
নতুন প্রজন্মকে উদ্দেশ্য করে মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, আমি নতুন প্রজন্মকে বলতে চাই— শহীদ জিয়াউর রহমানকে সম্পর্কে জানুন। তাহলে বাংলাদেশকে আপনারা জানতে পারবেন।

এতে উপস্থিত ছিলেন পটিয়া পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক নুরুল ইসলাম সওদাগর, পটিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব খোরশেদ আলম, পৌরসভা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী আবু তাহের, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নুরুল আমিন এমএসসি, উপজেলা বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক মফজল আহমদ চৌধুরী, যুগ্ম আহ্বায়ক কমিশনার আবুল ফয়েজ, একেএম জসীম উদ্দীন, মঈনুল আলম ছোটন, শফিকুল ইসলাম, সাইফুদ্দিন আহমেদ, তৌহিদুল আলম, হাজী কামাল উদ্দীন, হারুনুর রশীদ চৌধুরী, হাজী আবুল কাশেম, আবদুল মাবুদ, মোজাম্মেল হক চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সি. সহ সভাপতি শাহাজান চৌধুরী, টুর্ণামেন্ট পরিচালনা কমিটির সদস্য আবুল কালাম বাবু, নাছির উদ্দীন, বাদশা মিয়া, বোরহান উদ্দীন, শওকত আলী, মো. আবছার, জাকির হোসেন, মো. রফিক, জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব মীর জাকের, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক হামিদুর রহমান পিয়ারু, জাহাঙ্গীর আলম, আল রায়হান সোহেল, সিরাজুল ইসলাম তারেক, জেলা জাসাসের সদস্য সচিব নাছির উদ্দীন, বিএনপি নেতা মোর্শেদুল শফি হিরু, ইসমাইল হোসেন, আজিজুল হক, মাহাবুর রহমান, আবু সালেহ মো. সাইফুদ্দিন, জিয়াউর রহমান জিয়া, আলী নেওয়াজ চৌধুরী খোকন, প্রদীপ বিশ্বাস, টূর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সদস্য আকিবুল হক আকিব, আবিদুল হক আবিদ, পটিয়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ইয়াসির আরাফাত ইয়াসিন, সদস্য সচিব অহিদুল আলম পিবলু, পৌরসভা যুবদলের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিপন, যুগ্ম আহ্বায়ক আকতারুজ্জমান বাবলু, এসএম রেজা রিপন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ওবায়দুল হক রিকু, সদস্য সচিব মোহাম্মদ জাহেদ, পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মীর সাইফু, সদস্য সচিব আবদুল কাদের, শ্রমিক দলের সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন, সদস্য সচিব আবু নোমান লিটন, উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মাহাবুবুল আলম পারভেজ, সদস্য সচিব মিজানুর রহমান, পৌরসভা কৃষক দলের আহ্বায়ক বুলবুল আহমেদ নান্নু, সদস্য সচিব আলমগীর আলম, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ ফিরোজ, এস এম নয়ন, শাহাদাত হোসেন, অলিউল হোসেন রুবেল প্রমূখ।