পটিয়া উপজেলার কাশিয়াইশে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর গাড়ী বহরে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় গাড়ী বহরে থাকা মাইক্রোসহ ৬টি গাড়ীর চাকা কেটে দেয়া হয়।
একইদিন উপজেলার কাশিয়াইশের বুধপুরা বাজারে হুইপের নির্বাচনী ক্যাম্প ভাংচুর করা হয়। এ হামলার ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরীর ২৫-৩০ জন সমর্থক আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের মধ্যে সাদ্দাম হোসেন (৩০), গিয়াস উদ্দিন (৩০), নুরুল ইসলাম (৩২), গাড়ীর ড্রাইভার জাবেদ (৩২) ও তৌহিদুল ইসলাম ফারুকীর (৩৪) নাম জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার কাশিয়াইশে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর গণসংযোগকালে শেয়ার পাড়া রাস্তার মাথায় প্রতিপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় গণসংযোগে আসা রাম দা, কিরিচ ও চাইনিজ কুড়াল দিয়ে ৬টি গাড়ীর চাকা কেটে দেয়া হয়। প্রতিপক্ষের হামলায় ২৫-৩০জন ঈগল সমর্থক আহত হন।
এ সময় হুইপ সামশুল হক চৌধুরী প্রতিপক্ষের হামলায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে বলে স্থানীয়রা জানান। ঘটনার বিষয়ে হুইপ সামশুল হকের ছেলে নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন গণমাধ্যমকে জানান, কাশিয়াইশে গণসংযোগকালে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরীর গাড়ী বহরে স্থানীয় চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়।
চেয়ারম্যানের ছেলে হিমেল, আবু সাদাত সায়েম, জুলকার নাইন চৌধুরী জীবনসহ ৫০/৬০জনের একটি গ্রুপ এ হামলা চালায়। আমরা এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন জানান, হামলার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে যান পটিয়া নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও চন্দনাইশ আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ শেখ মুহিবুল্লাহ্, পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলাউদ্দিন ভুইয়া জনি, পটিয়া সার্কেলের এএসপি আতিকুর রহমানসহ আমি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।