[bangla_date] || [english_date]

মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের একজন বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব, উত্তর কাট্টলীর কৃতি সন্তান, সমাজসেবক ক্যাপ্টেন আলহাজ্ব ইবনে জাফর শফি চৌধুরীর স্মরণে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আলহাজ্ব মোহাম্মদ মনজুর আলম এর আয়োজনে  অনুষ্ঠিত হয়েছে এক নাগরিক শোক সভা । সাবেক মেয়র আলহাজ্ব মোহাম্মদ মনজুর আলম এতে সভাপতিত্ব করেন।

বুধবার (৫ জুন) সকালে দেশরত্ব জননেত্রী শেখ হাসিনা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত গরিক শোক সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন মোস্তফা হাকিম গ্রুপের পরিচালক ও আওয়ামী  লীগ নেতা ও সমাজ সেবক আলহাজ্ব মোহাম্মদ সাইফুল আলম।

স্বাগত বক্তব্য দেন নাগরিক শোকসভা কমিটির সদস্য সচিব ও উত্তর কাট্টলী আলহাজ্ব মোস্তফা হাকিম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলমগীর। আলোচনা করেন আকবরশাহ থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী আলতাফ হোসেন, সহসভাপতি লোকমান আলী, সমাজসেবক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুদ্দিন চৌধুরী, সমাজসেবক নেছার আহম্মদ, মরহুম শফি চৌধুরী’র পুত্র ব্যাংক কর্মকর্তা সোহেল চৌধুরী, মরহুমের ভাই নুরুল ইসলাম চৌধুরী, ভগ্নিপতি সৈয়দ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, বোন নাফিজা সুলতানা। মঞ্চে মরহুম শফি চৌধুরী’র আত্মীয় স্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন। শোকসভার প্রধান অতিথি চবির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে এবং আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠায় মরহুম শফি চৌধুরীর অবদান স্মরণীয়। তিনি বলেন, মসজিদ মাদ্রাসায় তিনি নীরবে দান করতেন। সমাজের একজন হিতৈষী হিসেবে শফি চৌধুরী স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

সভাপতির বক্তব্যে সাবেক মেয়র আলহাজ্ব মোহাম্মদ মনজুর আলম বলেন, তাদের ব্যবসায়িক কাজে ক্যাপ্টেন শফি চৌধুরীর অবদান ছিল। তিনি তার সম্মানার্থে উত্তর কাট্টলী আলহাজ্ব মোস্তফা হাকিম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের একজন অনার্সের ছাত্রকে বিনা বেতনে অধ্যয়নের সুযোগ দেবেন বলে ঘোষণা দেন। জনাব মনজুর আলম বলেন, সমাজের জন্য যাদের অবদান থাকবে তারা স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনায় খতমে   কোরআনেপাক, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা আবদুল মান্নান।