[bangla_date] || [english_date]

নিজস্ব প্রতিবেদক *

দক্ষিণ কাট্টলীর সমুদ্রোপকূলীয় প্রাকৃতিক অনাবিল ও নিরিবিলি পরিবেশ সরগরম হয়ে ওঠে বনভোজনে আসা চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরামের (সিআরএফ) সাংবাদিকদের পদচারণায়।

মোয়া আর ছাঁচের পিঠার নাস্তা,মাটির থালায় সাজানো সুস্বাদু ভোজন পরিবেশন, সংগীতের সুর-মুর্চ্চনায় হারিয়ে যাওয়া, গানের তালে নেচে-গেয়ে ভিন্নএক আবেশে সময় কেটেছে সাংবাদিকদের। ফ্রেন্ডশিপ-ফেলোশিপ ও আড্ডায় সিআরএফ সদস্যরা প্রাণভরে উপভোগ করেন বনভোজনের আনন্দ। সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা, আকর্ষণীয় পুরস্কার, টিআইবি পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিকের সম্মাননা প্রদান-সবকিছু মিলিয়ে একটি সুন্দর, সফল ও চমৎকার বনভোজন উপহার দিয়েছে পিকনিক কমিটি- যা অনেকদিন সকলের মনে থাকবে। বিশেষ করে অভ্যর্থনা কমিটির আহবায়ক মো. নুর উদ্দিন খান, সদস্য-সচিব মির্জা ইমতিয়াজ ও সদস্যরা আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করে সকলের নজর কাড়েন।

আজ (৩১ডিসেম্বর) দক্ষিণ কাট্টলীর সাগরপাড়ের নিরিবিলি ফার্মস ন্যাচারাল পার্কে সিআরএফ বার্ষিক বনভোজন ও মিলনমেলার আয়োজন করে। পিকনিকের জন্যে আলাদা কোনো যানবাহনের আয়োজন ছিলো না। নিজস্ব স্টাইলে সকাল ৯টা থেকে অংশগ্রহণকারীরা পিকনিক স্পটে আসা শুরু করে। পিকনিক কমিটির নেতৃবৃন্দ সকলকে ফুলের স্ট্রিক ও নাস্তার প্যাকেট দিয়ে বরণ করে নেয়। নাস্তার পর আড্ডা,ফটোসেশন অতঃপর শুরু হয় আলোচনা অনুষ্ঠান।

পিকনিক কমিটির মহাসচিব কামাল পারভেজের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি কাজী আবুল মনসুর, সাধারণ সম্পাদক আলীউর রহমান,পিকনিক কমিটির চেয়ারম্যান লোকমান চৌধুরী,সাইফুল্লাহ চৌধুরী,যুবায়ের সিদ্দিকী,শাহ আজম, সিআরএফ সদস্য চাটগাঁর বাণী’র প্রধান-সম্পাদক মোহাম্মদ ইউসুফ, ইমরান ইসলাম মুকুল প্রমুখ। বক্তারা বলেন, “লেখালেখি ও কাজের মাধ্যমে সাংবাদিকদের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে। বিশ্বব্যাপী সাংবাদিকতার সংজ্ঞা এখন পাল্টে গেছে। কে কোন্ মিডিয়ায় কাজ করেন সেটা বড় কথা নয়। ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকেরা এখন বিশ্বব্যাপী পুরস্কৃত হচ্ছেন। কারণ তাঁরা স্বাধীনভাবে লিখতে পারেন। পেশাগত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রকৃত সাংবাদিক হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। অসাধু সাংবাদিকেরা সমাজে সকলের কাছে চিহ্নিত; তাদের কেউ আন্তরিকভাবে সম্মান করে না। নতুন বছরে সিআরএফ এর সাংবাদিকদের জন্যে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করা হবে।  সিআরএফ নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। সকল বাধাবিপত্তি মোকাবেলা করে সিআরএফকে সাংবাদিকদের একটি শক্তিশালী প্লাটফরম হিসেবে গড়ে তোলা হবে।”

অনুষ্ঠানশেষে সদস্যদের হাতে আকর্ষণীয় পুরস্কার-প্যাকেট তুলে দেয়া হয়।