বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে

আইইবি, চট্টগ্রাম কেন্দ্রে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

সকল বিভেদ ও দুঃখ ভুলে জীর্ণতা ও কালিমা বিসর্জনের মাধ্যমে মানবকল্যাণ ও নবজীবনের প্রত্যয়ে সকল অশুভ শক্তিকে পরাভুত করে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ, (আইইবি), চট্টগ্রাম কেন্দ্রের উদ্যোগে সোমবার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ বরণ উপলক্ষে কেন্দ্রের মিলনায়তনে দিনব্যাপী বর্ষবরণের বর্ণিল অনুষ্ঠনমালার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়, বৈশাখী খাদ্য ও পিঠামেলা, প্রকৌশলী, প্রকৌশলী গৃহিণী ও প্রকৌশলী পরিবারের সন্তানদের অংশগ্রহণে আলপনা আঁকা, বৈশাখী সাজ ও হাঁড়ি ভাঙ্গা প্রতিযোগিতা এবং মনোজ্ঞ সঙ্গীতানুষ্ঠান। কেন্দ্রের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মনজারে খোরশেদ আলম, ভাইস-চেয়ারম্যান (একা. এন্ড এইচআরডি) প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন, ভাইস-চেয়ারম্যান (এডমিন.প্রফেশ. এন্ড এসডব্লিউ) প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম এবং সম্মানী সম্পাদক প্রকৌশলী খান মো. আমিনুর রহমান বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যবাহী দেশীয় পোষাকে সজ্জিত হয়ে উপস্থিত সকল প্রকৌশলী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সাথে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সকাল নয়টায় কেন্দ্রের চেয়ারম্যান, কেন্দ্রের ভাইস-চেয়ারম্যানদ্বয়, সম্মানী সম্পাদক, কেন্দ্রীয় কাউন্সিল সদস্য, কাউন্সিল সদস্য, ইআরসির নির্বাহীবৃন্দ ও প্রকৌশলীদের সাথে নিয়ে বৈশাখী খাদ্য ও পিঠা মেলার উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম সম্মানিত অতিথি ও এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব) চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সভাপতি প্রকৌশলী সেলিম মো. জানে আলম ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য-সচিব বিশিষ্ট সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।bsrm

এছাড়াও কেন্দ্রের প্রাক্তন নির্বাহীবৃন্দ, সরকারী বেসরকারী ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রকৌশলীগণ পরিবারের সদস্যসহ প্রায় দুই হাজার অতিথি উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কেন্দ্রের সম্মানী সম্পাদক প্রকৌশলী খান মো. আমিনুর রহমান।

বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রকৌশলী পরিবারের সদস্যরা গ্রাম বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী হরেক রকম স্বাদের স্বহস্তে তৈরী বিভিন্ন সাঁজ পিঠা, চিতই পিঠা, দুধ-চিতই, দই চিড়া, ভেল পুরি, পাটি সাপটা, নকশি  পিঠা, পায়েস, ক্ষীর, পান্তা ভাত, বিভিন্ন ধরনের ভর্তা, দেশীয় মিষ্টি, চটপটি, ফুচকা, হাওয়াই মিঠা ইত্যাদিসহ বিভিন্ন রকম সুস্বাদু খাবার নিয়ে স্টল স্থাপন করেন। বর্ষবরণ উপলক্ষে চিরন্তন বাঙালি সাজ প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগীরা বাংলার গুরত্ব বহনকারী মাতল, গামছা-লুঙ্গি, খড়ম পরিধান করে, বাঁশি ও একতারা নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করেন। আলপনা আঁকা প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগীরা প্রাচীন কালের গ্রাম বাংলার হারানো অতীত স্মৃতিগুলো আলপনার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলে।

অনুষ্ঠানে প্রকৌশলী, প্রকৌশলী গৃহিণী ও সন্তানরা কবিতা আবৃত্তি এবং নববর্ষকে আবাহন করে স্বরলিপি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী লোকজ সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এছাড়াও নববর্ষ বরণ উপলক্ষে আয়োজিত আলপনা আঁকা, চিরন্তন বাঙালী সাজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ও শ্রেষ্ঠ স্টলদাতাদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।ads din

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও