[bangla_date] || [english_date]

নিজস্ব প্রতিবেদক *

দলীয় নেতা কর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত লায়ন মো. আসলাম চৌধুরী এফসিএ

প্রবল বৃষ্টি-বাদল অগ্রাহ্য করে উত্তর চট্টগ্রাম বিএনপি’র সর্বস্তরের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী জড়ো হন চট্টগ্রাম জেলা কারাগারের সামনে। উদ্দেশ্য কারামুক্ত বিএনপিনেতা আসলাম চৌধুরীকে বরণ করা। এসময় তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। মিছিলে-স্লোগানে মুখরিত হয় লালদিঘির জেলগেট থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম শহর, সিটি গেট থেকে সীতাকুণ্ডের বড়দারোগাহাট পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুপাশ ঘিরে। দীর্ঘ আটবছর পর বিএনপির নেতাকর্মীরা তাঁদের প্রিয় নেতাকে কাছে পেয়ে দারুণভাবে উচ্ছ্বসিত ও পুলকিত হয়।চোখে-মুখে তাদের ছিল আনন্দের ঝিলিক। আনন্দ-উল্লাসে ফেটে পড়েন হাজার হাজার নেতাকর্মী। অভূতপূর্ব সেই এক দৃশ্য। ছাত্র-জনতার বাঁধভাঙ্গা জোয়ার- যা আছড়ে পড়েছে মহাসড়কের ৪০ কিলোমিটার এলাকায়। মুহুর্মুহু নানান স্লোগান ও করতালিতে প্রকম্পিত হয় বৃষ্টিস্নাত মহাসড়ক। তৈরি হয় তীব্র যানজট। জনভোগান্তিও কম হয়নি। গাড়িবহরে খোলাজিপে থাকা আসলাম চৌধুরী হাত নেড়ে অধীর আগ্রহে অপেক্ষামাণ উৎসুক জনতাকে জানান শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা। দল-মত-নির্বিশেষে হাজার হাজার মানুষের আন্তরিক ভালোবাসা ও ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হলেন কারামুক্ত নেতা বিএনপি’র চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা দানবীর লায়ন আসলাম চৌধুরী এফসিএ। আসলাম চৌধুরীর গাড়িবহর সীতাকুণ্ডের বড়দারোগাহাট গিয়ে সেখান থেকে ফৌজদারহাট এসে শেষ হয়। এখানে মা-বাবা ও পরিবারের সদস্যদের কবর জেয়ারত করে নিজবাড়িতে প্রবেশ করেন।

প্রবল বৃষ্টি-বাদল উপেক্ষা করে লায়ন মো. আসলাম চৌধুরীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে বিএনপি’র নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের হাজারো মানুষের ঢল ঢাকা -চট্টগ্রাম মহাসড়কে।

কারামুক্ত বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর গাড়িবহরে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক এম এ হালিম, যুগ্ম আহবায়ক কাজী সালাউদ্দিন,নুরুল আমিন, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, নুর মোহাম্মদ, অ্যাডভোকেট আবু তাহের, সীতাকুণ্ড উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ডা. কমল কদর, সদস্যসচিব কাজী মহিউদ্দিন, সীতাকুণ্ড উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডার সৈয়দ আবুল মনসুর, সীতাকুণ্ড পৌরসভা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. ইউসুফ নিজামী, সীতাকুণ্ড উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক জহুরুল আলম জহুর, সীতাকুণ্ড পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক জাকির হোসেন,সদস্যসচিব সালেহ আহমেদ সলু, পৌরকাউন্সিলর শামসুল আলম আজাদ, সাবেক পৌর কাউন্সিলর সেলিম উদ্দিন , বিএনপি নেতা মোজাহের উদ্দিন আশরাফ, মোশাররফ হোসেন দিপ্তি, মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা মো.মোরছালিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আওরঙ্গজেব মোস্তফা,,বখতিয়ার উদ্দিন, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক ফজলুল করিম চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক শাহাবুদ্দিন রাজু, ইসমাঈল হোসেন, আবদুস সালাম, সুলতান মো. আলাউদ্দিন, হেলালউদ্দিন বাবর, মো. শাহেদ, মো.বখতিয়ার উদ্দিন, পৌরসভা যুবদলের সদস্যসচিব জিয়াউদ্দিন জিয়া, মো. জিয়াউদ্দিন বাবলু, বারৈয়াঢালা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মো. জাফর ভূঁইয়া, আলাউদ্দিন মাসুম, নুরুন নবী সালাম, ফিরোজুল আলম,সুনেন্দু ভট্টাচার্য সাগর, সীতাকুণ্ড উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ইরফানুল হাসান রকিসহ বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের বহু নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য,আওয়ামী লীগ সরকারকে হটাতে ২০১৬ সালের প্রথমদিকে ভারতে বসে ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে বৈঠক করার অভিযোগ ওঠে আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে। দেশজুড়ে বিষয়টি আলোচনায় আসার পর ২০১৬ সালের ১৫ মে ঢাকা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি। তবে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিন চেম্বার জজ স্থগিত করার কারণে এতদিন মুক্তি পাননি তিনি। আসলাম চৌধুরীকে ৭৬টি রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাবন্দী করে রাখা হয়। ৭৫টি মামলায় জামিন হয়েছিল। কিন্তু ২০১৩ সালে ঢাকার কোতোয়ালী থানার রাজনৈতিক মামলায় এজাহারে নাম না থাকা সত্ত্বেও ২০২১ সালে গ্রেপ্তার দেখিয়ে মুক্তি প্রক্রিয়া আটকে রাখা হয়। ওই মামলায় ৫ জানুয়ারি ২০২২ সালে মহামান্য হাইকোর্ট জামিন দিলে রাষ্ট্রপক্ষ চেম্বার জজে আপিল করে জামিন স্থগিত করা হয়।  গেল পরশু ১৯ আগস্ট প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের দায়েরকৃত আপিল খারিজ করে দিয়েছেন।