[bangla_date] || [english_date]

নিজস্ব প্রতিবেদক *

সীতাকুণ্ডে আবারও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দিবাগত রাতে সীতাকুণ্ড মডেল থানা থেকে এককিলোমিটার উত্তরে পৌরসভার শেখপাড়ায় দৈনিক ইনকিলাব এর সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক শেখ সালাউদ্দিনের বাড়িতে হানা দিয়ে নগদ  টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রবাসীর মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করেছে ডাকাত দল।

ডাকাতির বিষয়টি নিশ্চিত করে সাংবাদিক শেখ সালাউদ্দিন চাটগাঁর বাণীকে বলেন, সম্প্রতি আমার একছোটভাই মারা গেছে।এর মধ্যে বিদেশ থেকে ছোটভাই রাসেল বাড়িতে আসে।দিনভর ঘরে দ্বিতল ভবনের কাজ চলার কারণে ছাদে ওঠার দরজা খোলা ছিল।রাত আনুমানিক তিনটার দিকে বাড়ির বাউন্ডারি ওয়াল টপকে একতলা ভবনের ছাদ দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে ডাকাত দল।  সাংবাদিক সালা উদ্দিন বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী বাড়িতে ছিলাম না ঘটনার সময়। মুলঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে  প্রবাসী ছোটভাই রাসেল, আমার মেয়ের জামাইসহ ঘরে থাকা ৬জনকে বেঁধে অস্ত্র ঠেকিয়ে আলমারিতে রাখা নগদ ১ লাখ ১০ হাজার টাকাসহ ৭/৮ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা।

১২-১৪ জন ডাকাত সবগুলো রুমের দরজা ভেঙ্গে প্রায় পৌণে একঘণ্টারমতো সময় লুটপাট চালায়। তাদের সবার হাতেই রামদাসহ ধারালো অস্ত্র ছিল।

এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি সীতাকুণ্ডের উত্তর ফেদাইনগর এলাকায় একুশে টেলিভিশনের ডেপুটি নিউজ এডিটর হাসান ফেরদৌসের বাড়িতে লুটপাট চালায় ডাকাত দল। এ সময় তত্ত্বাবধায়ক মো. রফিক মিয়াকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি ও মারধর করা হয়।

একই দিন পাশের গ্রাম ফুলগাজীতে আমান উল্লাহ মেম্বার ও নাদেরুজ্জামানের বাড়িতে আটকে পড়া একাধিক গাড়িতে লুটপাট চালায় ডাকাত দল।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড থানার ওসি মো. কামাল উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ডাকাতির বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন ওসি।

গত ৬ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দিবাগতরাতেই উপজেলার বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের বড়দারেগাহাট এলাকার উত্তর ফেদাইনগর গ্রামে একুশে টেলিভিশনের ডেপুটি নিউজ এডিটর ও সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌসের বাড়িসহ একরাতে তিন বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

এর আগে শনিবার(৩ ফেব্রুয়ারি) আরেক দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে সীতাকুণ্ড মডেল থানা থেকে আধ কিলোমিটার উত্তরে ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কের পূর্ব পাশেই শেখ পাড়াস্থ ইট ব্যবসায়ী আবুল হাশেমের বাড়িতে। ১৫/২০ জনের সশস্ত্র ডাকাতদল  আচমকা হাশেমের বসতঘরের  মুল দরজা ভেঙ্গে ৫-৬জন ভেতরে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে  পরিবারের সবাইকে জিম্মি করে ফেলে।ঘরে ঢুকেই ব্যবসায়ী হাসেম ও ছেলে এবং ছেলের বউসহ অন্যদের বেঁধে ফেলে। আলমারির চাবি দিতে অস্বীকার করলে বাবা-ছেলে দুইজনকে বেধড়ক পিটুনি দেয় তারা।একপর‌্যায়ে চাবি নিয়ে স্টীলের আলমিরার তালা খুলে দেড়ভরি স্বর্ণ, ইটব্যবসার নগদ ৬০-৭০ হাজার টাকা ও ৩টি দামি মোবাইল সেট নিয়ে ডাকাতদল নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়।

এর আগের রাত শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে ডাকাতি সংঘটিত হয় সৈয়দপুর ইউনিয়নের পূর্বসৈয়দপুর গ্রামের আশু টেন্ডলের বাড়ির আবদুল মান্নানের ঘরে। রাত ২টার দিকে ৮/১০জনের ডাকাতদল তার বসতঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে অ্স্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে চালায় ব্যাপক লুটপাট।নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও তিনটি মোবাইলসেটসহ প্রায় ৫/৬লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।