[bangla_date] || [english_date]

ঢাকা প্রতিনিধি *   

দুর্বৃত্তদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বিটিভি ভবন পরিদর্শন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবি করা শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলেননি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, আমার বক্তব্যকে বিকৃত করা হয়েছে। তারা নিজেরাই নিজেদের রাজাকার বলে স্নোগান দিয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকালে রাজধানীর রামপুরায় কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ চলাকালে দুর্বৃত্তদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবন পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় বিটিভি কার্যালয়ে ক্ষয়ক্ষতির সার্বিক চিত্র ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী।

পরিদর্শন শেষে দুষ্কৃতকারীদের খুঁজে বের করতে জনগণের সহায়তা চেয়ে সরকারপ্রধান বলেন, যারা এই ধ্বংসলীলার সঙ্গে জড়িত, আনাচে-কানাচে যেসব হামলাকারী লুকিয়ে আছে, তাদের খুঁজে বের করে সাজা নিশ্চিত করতে হবে। এই শত্রুদের খুঁজে বের করতে জনগণের সহযোগিতা চাই।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত অতীতের মতোই অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। তবে এবার তারা আলাদা। তারা গান পাউডার ব্যবহার করেছে। দেশের বাইরে আন্দোলন ছড়িয়ে দিয়ে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট ও মানুষের রুটি রুজি বন্ধের পাঁয়তারা করছে তারা।

গত ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রাজধানীর রামপুরায় বিটিভি সেন্টারে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। আগুনে টিভি সেন্টারের ভেতরের রিসিপশন, ক্যান্টিন ও একটি বাস পুড়িয়ে দেয়া হয়।

প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক (ডিজি) ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, দুর্বৃত্তরা বিটিভির কেন্দ্রে আগুন দিয়েছে, ক্যামেরাসহ অনেক কিছুই পুড়িয়ে দিয়েছে। অনেক যন্ত্রপাতি লুটপাটও করেছে। আমাদের ১৭টি গাড়ি পুড়িয়েছে, ৯টি গাড়ি ভাঙচুর করেছে, দুটি সম্প্রচার ভ্যান পুড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়াও আগুনে বিল্ডিংয়ের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

বিটিভি ভবনে ধ্বংসযজ্ঞ বর্ণনার সময় বিটিভির কর্মকর্তারা চোখের পানি আটকাতে পারেনি। এসময় প্রধানমন্ত্রীও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। বিটিভির মহাপরিচালক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিটিভি ভবনে উন্মত্ত তাণ্ডবের একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেন। এসময় বিটিভি ভবনে ভাঙচুরের একটি ভিডিওচিত্র দেখানো হয়।

প্রধানমন্ত্রী বিটিভির মহাব্যবস্থাপক মাহফুজা আক্তারকে অশ্রুসিক্ত নয়নে সান্ত্বনা দেন। পরিদর্শনকালে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খন্দকার এবং প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম. নজরুল ইসলামসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় মেট্রোরেল স্টেশনের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, যেসব স্থাপনা মানুষের জীবন সহজ করে সেগুলো ধ্বংস করা আসলে কোন ধরনের মানসিকতা? ঢাকা শহর যানজটে নাকাল থাকলেও মেট্রো স্বস্তি দিয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির মেট্রো স্টেশন যেভাবে ধ্বংস করা হয়েছে, মানতে পারছি না।