[bangla_date] || [english_date]

নিজস্ব প্রতিবেদক *

উচুনিচু করে বসানো হয়েছে স্লাবগুলো , প্রতিনিয়ত হোঁচট খাওয়ার ভয়।

চট্টগ্রাম নগরের জাকির হোসেন রোডের জিইসি মোড় থেকে উইমেন কলেজ মোড় পর্যন্ত উন্নয়নের ছাপ পড়েছে। এ সড়কের দু’পাশের ফুটপাতে পথচারিদের চলাচলে যে চরম ভোগান্তি ছিল- তা এখন আর নেই। ফুটপাতে ভাসমান দোকানপাট নেই,নেই তেমনএকটা যানজট।

দু-তিনমাস আগেও অত্যন্ত ব্যস্ততম এ সড়কের দু’পাশের ফুটপাতের স্লাবগুলো ভেঙ্গে বড়বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছিল। গর্তেপড়ে হাত-ভাঙ্গার ভয় নিয়ে পথচারিদের চলাচল করতে হতো।দুর্ভোগের সীমা-পরিসীমা ছিল না। দীর্ঘসময় ছিল ফুটপাতের এ বেহাল অবস্থা। অবশেষে জনদুর্ভোগ নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এগিয়ে আসে। ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, ওমরগণি এম ই এস কলেজ, চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ, নাসিরাবাদ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিক্ষার্থীসহ বিপুলসংখ্যক মানুষ প্রতিদিন এ পথে যাতায়াত করে। সড়কের ফুটপাতে পরিচ্ছন্নতার ছাপ না থাকলেও লোকজন এখন নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারছে, আগের মতো পা ফেলতে আর চিন্তা করতে হচ্ছে না।

সরজমিনে দেখা যায়,নতুন স্লাব দিয়ে গর্তগুলো ভরাট করা হলেও ফুটপাত অসমতল হয়ে গেছে। গর্তের ভেতরে স্লাবগুলো সমান করে বসালে ফূটপাত উচুনিচু হতো না। লোকজনকে হাঁটতে গিয়ে ওষ্ঠা খাওয়ার সম্ভাবনা থাকতো না। আগে ছিল গর্তেপড়ে হাত-পা ভাঙ্গার ভয়, আর এখন ওষ্ঠা কিংবা হোঁচট খাওয়ার ভয়। শুধু স্লাবগুলো বসিয়ে দায়িত্ব শেষ করা হয়েছে। আরেকটু মানসম্মত স্লাব দিয়ে গর্ত পরিপূর্ণ করে ছিমছাম ও পরিপাটি করেই পুরো ফুটপাতের উন্নয়ন করা যেতো।

উল্লেখ্য, জাকির হোসেন রোডের এ অংশের ফুটপাতের দৈন্যদশা নিয়ে চাটগাঁরবাণী অনলাইন নিউজপোর্টালে “ফুটপাত নয় যেন মরণফাঁদ”শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল।