[bangla_date] || [english_date]

নিজস্ব প্রতিবেদক *

উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

প্রয়োজনীয় সংস্কারের পরে নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। রাজনৈতিক দলগুলোও এ বিষয়ে একমত বলে তিনি জানান।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভার পর ফয়েন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

দেশের ছয়টি সেক্টরের সংস্কার নিয়ে ছয়টি কমিশন গঠন বিষয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন উপদেষ্টা রিজওয়ানা। তিনি বলেন, এই কমিশনগুলোর কার্যপরিধি এখনও ঠিক করা হয়নি। তারা প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু করবে। সিদ্ধান্ত হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এই কমিশনগুলোতে সাচিবিক সহায়তা দেবে। প্রধান উপদেষ্টার জাতিসংঘ সম্মেলন শেষে টার্ম অব কন্ডিশন ঠিক করা হবে। কমিশনগুলোর প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করে অন্যান্য সদস্য ঠিক করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আশা করছি তিন মাসের মধ্যে কমিশনগুলো তাদের প্রতিবেদন দিতে পারবে।

এরশাদ সরকারের সময় এ ধরনের কমিশন করা হয়েছিল। কিন্তু ওই কমিশনের প্রতিবেদন আলোক মুখ দেখেনি। এবার কী সেটা হবে কী না– এমন প্রশ্নের জবাতে রিজওয়ানা বলেন, এরশাদ সাহেবের সময় আর এবারের বাস্তবতাটাও ভিন্ন, প্রেক্ষিতটাও ভিন্ন। কিন্তু এই প্রতিবেদন আদৌ বাস্তবায়িত হবে কি না সেটা নির্ভর করবে রাজনৈতিক ঐক্য এটার সপক্ষে আমরা কতটা গড়ে তুলতে পারি তার ওপর। এজন্য সংস্কারের বিষয়ে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোরও মতামত চাচ্ছি। আর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও নিশ্চয়ই এ উপলব্ধি আসছে।

তিনি বলেন, এরশাদ সরকার করে যেতে পারেনি, তার ফল কী হয়েছে এটা রাজনৈতিক দলগুলো দেখেছে। তারাও (রাজনৈতিক দল) কোনও সংস্কার করেনি। এর ফল কী হয়েছে সেটাও ৫ আগস্ট জাতি দেখেছে। কোনও রাজনৈতিক দল নিশ্চয়ই অজনপ্রিয় হয়ে আবার একই রকম ফলাফল দেখতে চাইবে না। এজন্য প্রথম থেকেই আমরা মতবিনিময়ে তাদের (রাজনৈতিক দল) অন্তর্ভূক্ত করেছি। এক পর্যায়ে আমরা সংলাপে যাবো। ওই সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক মতৈক্য গড়ে সংস্কার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার ও কোনও কোনও ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে তারপরে আমরা নির্বাচনের কথা ভাবছি। রাজনৈতিক দলগুলো ইতোমধ্যে স্পষ্ট করেছে যে আগে সংস্কার ও পরে তারা নির্বাচনে যেতে যায়।