[bangla_date] || [english_date]

নিজস্ব প্রতিবেদক *

রাব্বিকে আর্থিক সহায়তা ও প্রশংসাপত্র প্রদান করছেন সীতাকুণ্ড জনকল্যাণ ফোরামের নেতৃবৃন্দ

এবারের এসএসসি পরীক্ষায় পায়ে লিখে জিপিএ- ৫ অর্জন করেছে ভাটিয়ারি হাজী টি এ সি উচ্চবিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দু’হাত হারানো রফিকুল ইসলাম রাব্বি।

সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারি ইউনিয়নের পূর্ব-হাসনাবাদ নিবাসী বজলুর রহমানের পুত্র রাব্বি প্রথমে মুখে কলম ধরে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা দেয়। পরে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে পায়ে লেখার অভ্যাস শুরু করে সে পায়ে লেখে এসএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখে। রাব্বির অদম্য মনোবল ও উদগ্র বাসনার কাছে শারীরিক অক্ষমতা হার মানে। রাব্বির বিরল সাফল্য মিডিয়ার কল্যাণে দেশজুড়ে আলোচনার ঝড় তুলে। রাব্বিকে একনজর দেখার জন্যে মিডিয়াকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ দুদিন ধরে ছুটে আসছে তার বাসায়।

সোমবার (১৩মে) সন্ধ্যারাতে সীতাকুণ্ড জনকল্যাণ ফোরাম (এসজেএফ) নেতৃবৃন্দ রাব্বির বাসায় যান। মেধাবী শিক্ষার্থী রাব্বি ও তার বাবা বজলুর রহমানের সাথে কথা হয় এস জেএফ নেতাদের। রাব্বিপরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশিরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।এ সময় সীতাকুণ্ড জনকল্যাণ ফোরামের তরফ থেকে রাব্বিকে আর্থিক সহায়তা ও একটি প্রশংসাপত্র প্রদান করা হয়। রাব্বির লেখাপড়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রশংসাপত্রটি রাব্বিকে পড়ে শোনান এসজেএফ এর সাধারণ সম্পাদক রোটারিয়ান সাংবাদিক মোহাম্মদ ইউসুফ। প্রশংসাবার্তা শোনে রাব্বির চোখেমুখে আনন্দের যে আলোকচ্ছটা ছড়িয়ে পড়ছিলো- তা বর্ণনার নয়, শুধু উপলব্ধির বিষয়।

লেখাপড়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত এসজেএফ নেতৃবৃন্দ রাব্বিপরিবারকে ধারাবাহিক আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দেন। এসজেএফ নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ শামসুল আরেফিন, মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন,রোটারিয়ান মো. শওকত হোসেন, কলেজশিক্ষক সঞ্জয় রায়, নবিউল আলম ও এ এম এস আজম আরজু।

এবারের এসএসসি পরীক্ষায় পায়ে লিখে জিপিএ- ৫ অর্জনকারী ভাটিয়ারি হাজী টি এ সি উচ্চবিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র রাব্বিকে আর্থিক সহায়তা ও প্রশংসাপত্র প্রদান করছেন সীতাকুণ্ড জনকল্যাণ ফোরামের নেতৃবৃন্দ