[bangla_date] || [english_date]

নিজস্ব প্রতিবেদক *

যশোর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি শাহীন চাকলাদারের মালিকানাধীন হোটেল জাবির ইন্টারন্যাশনালে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে ২৪ জনকে হত্যার অভিযোগে অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।

ঘটনার ১৫ দিন পর সোমবার রাতে শাহীন চাকলাদারের চাচাতো ভাই যশোর সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, তার চাচাতো ভাই শাহীন চাকলাদার যশোর শহরের পুরাতন কসবা কাজীপাড়া এলাকার মৃত মান্নান চাকলাদারের ছেলে। তিনি একজন সাবেক সংসদ সদস্য। যশোর শহরের চিত্রা মোড় এমএম আলী রোডে জাবির ইন্টারন্যাশনাল নামে তার মালিকানাধীন একটি পাঁচ তারকা মানের আবাসিক হোটেল রয়েছে। গত ৫ আগস্ট বিকেল ৩টার দিকে অজ্ঞাত ২শ দুর্বৃত্ত গান পাউডার ও পেট্রোল নিয়ে ওই হোটেলের মধ্যে ঢোকে।

দুর্বৃত্তরা প্রথমেই লুটপাট শুরু করে; হোটেলে ক্যাশ ভোল্ট ভেঙে ৯০ লাখ টাকা নিয়ে যায়। এরপর ১০০টি ফ্রিজ, ১০০টি স্মার্ট টেলিভিশন, সাড়ে ৪০০ কিলো ভোল্টেজের দুইটি জেনারেটর, হোটেলের স্টোরে রাখা বিভিন্ন প্রকার মালামাল, আসবাবপত্র, ১ হাজার কিলো ভোল্টেজের ট্রান্সফরমারসহ বিদ্যুতের সাব-স্টেশন, প্রেসার পাম্প, সাইবার স্টেশন ও ফায়ার ইঞ্জিনসহ বিভিন্ন মূল্যবান সম্পদ নিয়ে যায়।

এরপর গানপাউার ও পেট্রোল  দিয়ে হোটেলে একতলা থেকে ১৬ তলা পর্যন্ত আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এতে ওই হোটেলে থাকা একজন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিকসহ ২৪ জন পুড়ে মারা যান। নিহতদের মধ্যে হোটেল স্টাফ ও বোর্ডার ছিলো।

অভিযোগে আরও বলা হয়, হোটেলে আলমারিতে রাখা তার ভাইয়ের আরও বিভিন্ন কোম্পানির মূল্যবান কাগজপত্র, আসবাবপত্র, স্টোরে রাখা বিভিন্ন মালামাল, যাবতীয় ইলেক্ট্রিক সামগ্রী, ৩টি লিফট, জানালার গ্রিল, গ্লাস দরজার যাবতীয় ডেকোরেশন পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এছাড়া মূল ইমারতের বহু ক্ষতি হয়েছে- যা এ মুহূর্তে নিরূপণ করা সম্ভব না। বিষয়টি আশপাশের বহু লোক দেখেছে।

ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল থাকায় সে সময় অভিযোগ দেয়া সম্ভব ছিলো না বিধায় মামলা করতে দেরি হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, রবিবার রাতে সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু একটি অভিযোগ দিয়েছিলেন। সেটি আজ মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। মামলা নম্বর ২২। এ ঘটনায় তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।