[bangla_date] || [english_date]

নিজস্ব প্রতিবেদক *

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলামের কাছ থেকে জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কারের সম্মাননা গ্রহণ করছেন জেলাপ্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান

সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে কর্মক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানকে বিভাগীয় পর্যায়ে জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২৩-২৪ প্রদান করা হয়েছে।

সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলামের কাছ থেকে  জেলাপ্রশাসক  ফখরুজ্জামান এ সম্মাননা গ্রহণ করেন ।

জাতীয় শুদ্ধাচার সম্মাননা গ্রহণ শেষে চট্টগ্রাম জেলাপ্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, এই সম্মাননা আমার জন্য নিরন্তর অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। আমি বরাবরের মতই সততা, নিষ্ঠা এবং নির্ভরযোগ্যতার সাথে আমার পেশাগত দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকবো।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম বলেন, শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদানে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, চট্টগ্রামের নৈতিকতা কমিটি ও বাছাই কমিটির সভায় সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর কার্যাবলী পর্যালোচনা করা হয়। যাচাই-বাছাইয়ের পর চট্টগ্রাম বিভাগের ১১জন জেলা প্রশাসকের মধ্যে নির্বাচিত হয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক। কর্মক্ষেত্রে তার পদচারণা নিঃসন্দেহে সকলের জন্য অনুসরণীয় এবং একই সাথে অনুপ্রেরণাদায়ক।

উল্লেখ্য, ‘সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল’ শিরোনামে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল ২০১২ সালে মন্ত্রীসভা বৈঠকে অনুমোদন করা হয় এবং ২০১৭ সালের ৬ এপ্রিল ‘শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান নীতিমালা-২০১৭’ সংক্রান্ত গেজেট জারি করা হয়।

শুদ্ধাচার পুরস্কারের জন্য বিবেচ্য ১৮টি গুণাবলি হচ্ছে-কর্মচারীর পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতা, সততার নিদর্শন স্থাপন করা, নির্ভরযোগ্যতা ও কর্তব্যনিষ্ঠা, শৃঙ্খলাবোধ, সহকর্মী  ও সেবাগ্রহীতার সঙ্গে আচরণ, প্রতিষ্ঠানের বিধিবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা, সমন্বয় ও নেতৃত্বদানের ক্ষমতা, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শিতা, পেশাগত স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক নিরাপত্তা সচেতনতা, ছুটি গ্রহণের প্রবণতা, উদ্ভাবনী চর্চার সক্ষমতা, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে তৎপরতা, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার, স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশে আগ্রহ, উপস্থাপন দক্ষতা, ই-ফাইল ব্যবহারে আগ্রহ, অভিযোগ প্রতিকারে সহযোগিতা করা। বিবেচিত কর্মচারীদের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারী শুদ্ধাচার পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হন।