[bangla_date] || [english_date]

নিজস্ব প্রতিবেদক *

রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে জর্জিয়াকে হারিয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে শুভসূচনা করল তুরস্ক। বড় টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দারুণ খেলল জর্জিয়া। পয়েন্টও পেতে পারত তারা, কিন্তু পোস্ট আর ক্রসবারের বাধায় তা হলো না। ডর্টমুন্ডে মঙ্গলবার ‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচটি ৩-১ গোলে জিতল তুরস্ক। এই নিয়ে ছয়বার ইউরোয় অংশ নিয়ে প্রথমবারের মতো আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচ জিততে পারল তুরস্ক।

প্রথমার্ধে মের্ত মুল্দুরের দারুণ গোলের পর জর্জিয়াকে সমতায় ফেরান মিকাউতাদজে। দ্বিতীয়ার্ধে গিলের তুরস্ককে ফের এগিয়ে নেয়ার পর একেবারে শেষ সময়ে জালের দেখা পান আকতুরকোগলু।

পরিষ্কার ফেভারিট হিসেবে এই ম্যাচ খেলতে নামা তুরস্ক শুরুটাও করে ভালো। ষষ্ঠ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় তারা। কর্নারে কান আয়হানের হেড উড়ে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। চার মিনিট পর ২৫ গজ দূর থেকে তরুণ এই ডিফেন্ডারের নিচু শট পোস্টে লাগে।

২৫তম মিনিটে এগিয়ে যায় তুরস্ক। বাম দিকের বাইলাইনের কাছ থেকে ফের্দি কাদিওগলুর ক্রস হেডে ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেনি জর্জিয়ার এক ডিফেন্ডার। বক্সের বাইরে থেকে মুল্দুরের বুলেট গতির ভলি ওপরের কোণা দিয়ে জালে জড়ায়। দুই মিনিট পর দ্বিতীয় গোলও পেতে পারত তারা। ডান দিক থেকে সতীর্থের পাসে কাছ থেকে বল জালে পাঠান কেনান ইলদিস। কিন্তু ভিএআরে গোল মেলেনি, সামান্য ব্যবধানে অফসাইডে ছিলেন তিনি।

বল দখলে পিছিয়ে থাকলেও বারবার পাল্টা আক্রমণে ভীতি ছড়ায় জর্জিয়া। ৩২তম মিনিটে ম্যাচে ফেরে বাছাইয়ের প্লে-অফ ফাইনালে গ্রিসকে টাইব্রেকারে হারিয়ে মূল পর্বের টিকেট পাওয়া দলটি। ডান দিকে একজনকে কাটিয়ে পাস দেন জিওর্জি ককোর‌্যাশভিলি, আর ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে প্রথম স্পর্শে ঠিকানা খুঁজে নেন মিকাউতাদজে।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মুল্দুরের শট ফিরিয়ে দেন জর্জিয়ার গোলরক্ষক। ৬৫তম মিনিটে তুরস্ককে দ্বিতীয়বার এগিয়ে নেন গিলের। সতীর্থের থেকে বল পেয়ে একটু এগিয়ে ২৫ গজ দূর থেকে দুই খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে বাঁ পায়ে গোলার মতো শট নেন তিনি, দূরের পোস্ট দিয়ে বল জড়ায় জালে।

রেয়াল মাদ্রিদের হয়ে অভিষেক মৌসুমে চমৎকার পারফরম্যান্সে নিজেকে মেলে ধরে তুরস্কের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বাদ পান গিলের। এবার জাতীয় দলের হয়ে ইউরোয় প্রথমবার খেলতে নেমেই এমন একটি গোল করলেন এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার।

স্রেফ তৃতীয় টিনএজার হিসেবে ইউরোয় নিজের প্রথম ম্যাচে জালের দেখা পেলেন তিনি। ১৯৬৪ সালে স্পেনের বিপক্ষে হাঙ্গেরির হয়ে ফেরেঙ্ক বেনে ও ২০০৪ সালে পর্তুগালের হয়ে গ্রিসের বিপক্ষে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো এই কীর্তি গড়েন।

পাঁচ মিনিট পরই সমতায় ফিরতে পারত জর্জিয়া, কিন্তু বক্সের ভেতর থেকে ককোর‌্যাশভিলির শট ক্রসবারে লাগে। যোগ করা সময়েও পোস্ট বাধ সাধে জর্জিয়ার সামনে। এবার বুদু জিভজিভাদজের প্রচেষ্টা পোস্টে লাগে।

শেষ সময়ে কর্নায় পায় তারা। জর্জিয়ার গোলরক্ষকও চলে আসেন প্রতিপক্ষের বক্সে। তুরস্ক কর্নার ক্লিয়ার করার পর বল ধরে এগিয়ে ফাঁকা জালে পাঠান আকতুরকোগলু।