[bangla_date] || [english_date]
চসিক ও ইউনিসেফ আয়োজিত ইপিআই ত্রৈমাসিক সভায় বক্তব্য রাখছেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ ও ইউনিসেফের সহযোগিতায় জেলা প্রমাণ পরিকল্পনা ও বাজেট পর্যালোচনা শীর্ষক ত্রৈমাসিক সভা (District Evidence Based Planning & Budgeting (DEPB) Review Meeting Chattogram City Corporation)  অনুষ্ঠিত হয়।

রবিবার (১৪ জুলাই) সকালে নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ইমাম হোসেন রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি ছিলেন কাউন্সিলর ছালেহ আহমদ চৌধুরী, আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল, আবদুস সালাম মাসুম, চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী, ইউনিসেফ চট্টগ্রাম বিভাগের চিফ অব ফিল্ড অফিসার মাধুরী ব্যার্নাজী। স্বগত বক্তব্য রাখেন ইউনিসেফের হেলথ অফিসার ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন, তথ্য উপস্থাপন করেন ডা. প্রসুন রায়।

উপস্থিত ছিলেন চসিকের উপসচিব ও জনসংযোগ কাম প্রটোকল অফিসার আজিজ আহমদ, বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. মঈনুল হোসেন আলী জয়সহ বিভিন্ন এনজিও সংস্থার প্রতিনিধি বৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ইপিআই একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি। বিশ্বব্যাপী এই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। যার মূল লক্ষ হচ্ছে সংক্রামক রোগ থেকে শিশুদের অকালমৃত্যু ও পঙ্গুত্ব রোধ করা। নিয়মিত টিকা গ্রহণে কঠিন ১০টি রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে এবং শিশু ও গর্ভবতী মহিলার মৃত্যুহার কমে আসবে। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ইপিআই কর্যক্রমে সারাদেশের মধ্যে তৃতীয় স্থান অধিকার করে প্রশংসিত হয়েছে এবং এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে। ইতোমধ্যে টিকাদান কার্যক্রমে আধুনিক প্রযুক্তি ই-ট্যাকার সংযোযন করেছে যাতে এক বছরের নিচের সকল শিশুকে বিশেষ করে শহর এলাকায় জিরো ডোজ, আন্ডার ইমিউনাইজড ও মিসড কমিউনিটির শিশুদের খুঁজে এই কার্যক্রমের আওতায় আনা যায়।  তিনি নগরীর ০-২৪ মাস বয়সী শিশুদের যথাসময়ে টিকা নিশ্চিত করে জিরো ডোজ শিশু সংখ্যা হ্রাস ও আংশিক টিকা প্রাপ্ত জনগোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ টিকার আওতায় আনার উপর গুত্বারোপ করেন।

চসিকের মোবাইল কোর্টঃ তিন প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা

নগরীতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছেন চসিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৈতী সর্ববিদ্যা

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৈতী সর্ববিদ্যা আজ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় রবিবার (১৪ জুলাই)  মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। তিনি কোর্ট পরিচালনাকালে হোটেল ও বেকারীতে  পোঁড়া তৈল, রাসায়নিক ব্যবহার, অস্বাস্থ্যকর, নোংরা ও দুর্গন্ধময় পরিবেশে খাদ্য প্রস্তুত এবং বিক্রির দায়ে দুটি বেকারী ও একটি হোটেল মালিকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু পূর্বক ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

বেকারীগুলো হলো ফয়েজ লেকস্থ ব্রেডকো বেকারীকে ৫৫ হাজার, পাহাড়তলী নিউ শাহী বেকারীকে ৩০ হাজার ও পাহাড়তী কলেজ রোডস্থ মেম্বার হোটেলকে ৫০ হাজার।

অভিযান পরিচালনাকালে সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেটকে সহায়তা প্রদান করেন।

অতি বর্ষনে ক্ষতিগ্রস্থ সড়কের সংস্কার শুরু করেছে চসিক

অতি বর্ষণে নগরীর ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তা মেরামত করছে চসিক

সম্প্রতি অতিবৃষ্টি ও ভারী বর্ষণের ফলে নগরীর ক্ষতিগ্রস্থ সড়কগুলো দ্রুত সংস্কারের নির্দেশনা দেন সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

তিনি গত কয়েক দিনের লাগাতার বৃষ্টির কারণে যে সকল রাস্তা খানা-খন্দকে পরিণত হয়েছে সগুলো অতি দ্রুত সংস্কার করে নগরীবাসীর চলাচলে দুঃখ লাগবের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের নির্দেশ দেন।

সিটি মেয়রের নির্দেশনা অনযায়ী রবিবার (১৪ জুলাই) থেকে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের সকল ক্ষতিগ্রস্থ সড়কের তালিকা তৈরী করছেন সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলীগণ। এবং আজ থেকে প্রধান সড়কগুলোতে সংস্কার কাজ হয়েছে।  সংস্কারাধীন সড়কগুলোর মধ্যে রয়েছে বহদ্দারহাট থেকে সিডিএ এভিনিউ সড়ক, টাইগারপাস থেকে লালখান বাজার মোড়, আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস এলাকা, জাকির হোসেন থেকে এ কে খান রোড, বায়েজিদ থেকে ষোলশহর ২নম্বর গেট রোড, বোটক্লাব থেকে এয়ারপোর্ট সড়ক। প্রতিদিন সড়ক সংস্কার কাজ চলমান থাকবে।