[bangla_date] || [english_date]

গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ইসরাইলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৬ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত শতাধিক মানুষ।

কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, সাজোয়া যানগুলো পূর্ব খান ইউনিস শহরের আল-কারারা, আজ-জান্না এবং বানি সুহেইলা তিনটি শহরে হামলা চালায়। ওই তিন শহরেই অন্তত ৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়। বাকিরা অন্য শহরগুলোতে প্রাণ হারান।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তারা প্রচণ্ড লড়াইয়ের শব্দ শুনতে পাচ্ছেন। নতুন আগ্রাসনের ফলে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি তাদের বাড়িঘর হারাচ্ছেন। তারা আশ্রয়ের খোঁজে জনবহুল আল-মাওয়াসি ও মধ্য দেইর এল-বালাহ’র দিকে ছুটছেন।

রাফায় মিশর সীমান্তের কাছ দিয়ে ইসরাইলে বাহিনী উত্তরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিরলস এই হামলায় আরও অন্তত ৯০ হাজার ৮৩০ জন ব্যক্তিও আহত হয়েছেন।

মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর করা তিনটি ‘গণহত্যায়’৬৬ জন নিহত এবং আরও ২৪১ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরাইল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

গোলান মালভূমিতে হামলার পেছনে কারা?গোলান মালভূমিতে হামলার পেছনে কারা?

গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরাইল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরাইলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এছাড়া আগ্রাসনের ফলে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

জাতিসংঘের মতে, গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ইসরাইলের বর্বর আক্রমণের কারণে ।