[bangla_date] || [english_date]

নিজস্ব প্রতিবেদক *

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দেশব্যাপী নজিরবিহীন নৈরাজ্য ও তাণ্ডবের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৮ জুলাই রাত থেকে ২৩ জুলাই রাত পর্যন্ত টানা ছয়দিন সারাদেশে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিলো। এই পরিস্থিতিতে গত কয়েক দিনের প্রধান ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরা হলো।

১৮ জুলাই

কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্রদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ শুরু হয় এদিন। কর্মসূচি চলাকালে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। রাজধানীর উত্তরা, ধানমন্ডি, বাড্ডা, মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন স্থানে সহিসংতায় প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়।

দুর্বৃত্তকারীরা রাজধানীর মহাখালীতে সেতু ভবন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ভবন, দুর্যোগ ভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় আগুন দেয়া হয়। শতাধিক গাড়ি পোড়ানো হয়। আগুন দেয়া হয় রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম বাংলাদেশ টেলিভিশনে। এর জেরে অন্তত ১২ ঘণ্টা বিটিভির সম্প্রচার বন্ধ ছিলো। রাজধানীর বাড্ডায় পুলিশ সদস্যদের কোনঠাসা করে ফেলে আন্দোলনকারীরা। পরে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাদে আশ্রয় নেয় পুলিশ। র‌্যাবের হেলিকপ্টার এসে তাদের উদ্ধার করে।

এদিন সারাদেশে বিজিবি মোতায়েন করা হয়।

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যায়। এর আগের দিন ১৭ জুলাই বন্ধ করা হয় দ্রুতগতির ফোরজি ইন্টারনেট সেবা। অবশ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সহিংসতায় সরকারের ডাটা সেন্টার পুড়ে যাওয়ার কারণে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রয়েছে, তারা মেরামত করে দ্রুত লাইন চালুর চেষ্টা করছে।

১৯ জুলাই

দেশের অরাজক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সারা দেশে কারফিউ জারি ও সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুক্রবার দিনগত রাত ১২টা থেকে প্রথম দফায় শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত কারফিউ ছিলো। এরপর দুই ঘণ্টা বিরতির পর বেলা দুইটা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সারাদেশে কারফিউ চলে। একই সঙ্গে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য সেনা মোতায়েন করা হয়।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দুর্বৃত্তরা রাজধানীর মিরপুরের কাজীপাড়া ও ১০ নম্বর মেট্রোরেল স্টেশন, এলিভেডেট এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজাসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

এ দিন নরসিংদীর জেলা কারাগারে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। অরাজকতার সুযোগ নিয়ে গেট ভেঙে ৮২৬ জন কয়েদি পালিয়ে যায়। লুট করা হয় অস্ত্র। পালিয়ে যাওয়া কয়েদিদের মধ্যে আনসরুল্লাহ বাংলা টিমের সাত সদস্য ও জেএমবি’র দুই নারী সদস্যও রয়েছে। এসময় ৮৫টি অস্ত্র ও এক হাজার ৫০টি গুলি ছিনিয়ে নেয়া হয় বলেও সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।

১৯ জুলাই রাত আড়াইটার দিকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আট দফা দাবি তুলে ধরেন কোটা আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক। তারা জানান, আন্দোলনের নামে সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। অবশ্য এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল কাদের গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় ৯ দফা দাবির কথা জানান। দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে বলে আন্দোলনকারীরা ঘোষণা দেন।

২০ জুলাই

সরকারি সিদ্ধান্তে এ দিন দেশজুড়ে কারফিউ দেয়া হয়। শুক্রবার দিনগত রাত ১২টায় শুরু হওয়া কারফিউ এদিন দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত শিথিল ছিলো। কারফিউ চলাকালে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে সেনা মোতায়েন করা হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ থাকবে।

কারফিউ চলাকালেও এদিন ঢাকার যাত্রাবাড়ি, উত্তরা, বাড্ডা ও মিরপুরে সড়ক অবরোধের চেষ্টা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। রাজধানীর বাইরেও কয়েকটি স্থানে সংঘর্ষ হয়েছে। মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর ১০ স্টেশনে ভাঙচুর করা হয়।

এদিন সরকার ২১ ও ২২ জুলাই দুই দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। সরকার নির্বাহী আদেশে এ ছুটি ঘোষণা করেছে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। পরে অবশ্য সাধারণ ছুটি আরও একদিন বাড়িয়ে ২৩ জুলাইও ছুটির আওতায় আনা হয়।

২১ জুলাই

সরকার পক্ষের আপিল আবেদনের পর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের বেঞ্চ সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে হাইকোট বিভাগের রায় বাতিল করেন। একইসঙ্গে আপিল বিভাগ সরকারি চাকরিতে মেধার ভিত্তিতে ৯৩ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধা/বীরঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করে দেয়। মুক্তিযোদ্ধার কোটা কেবল তাদের সন্তানদের জন্য প্রযোজ্য হবে। এ ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধারের নাতিপুতিরা বিবেচ্য হবেন না। আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী সরকারকে প্রজ্ঞাপন জারি করতে আদেশ দেয়া হয়।

বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৫৬ সমন্বয়কের যৌথ বিবৃতি শিরোনামে একটি ক্ষুদেবার্তা পাঠানো হয়। এতে কমপ্লিট শাটডাউন আরও জোরদারের আহ্বান জানানো হয়।

২২ জুলাই

সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকরির সব গ্রেডে ৯৩ শতাংশ নিয়োগ মেধার ভিত্তিতে করার বিষয়ে উচ্চ আদালতের আদেশের পর সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ দিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা ছাত্রদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে হামলা-অগ্নিসন্ত্রাস করেছে মন্তব্য করে ওই মতবিনিময়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে ছাত্রদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এখনও তারা জ্বালাও-পোলাও আন্দোলনের হুকুম দিয়ে যাচ্ছে। যারা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, এত সহজে ছাড়া হবে না। শক্ত অ্যাকশন নিয়ে এটা দমন করে পরিবেশটা উন্নত করা হবে।

সরকার বাধ্য হয়ে কারফিউ ও সেনা মোতায়েন করেছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, এটা আমরা চাই না। তারা (ছাত্ররা) যখন সরে এসেছে সেই সময় আমি আর্মি নামিয়েছি। আমি কিন্তু তার আগে আর্মি নামাইনি। আমরা শেষ চেষ্টা করি রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে। তারপর আর্মি নামাতে বাধ্য হয়েছি। কারফিউ দিয়েছি। আস্তে আস্তে কারফিউ শিথিল করা হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।

পাঁচ দিন পর নিয়ন্ত্রণে যাত্রাবাড়ী: আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির ঘোষণার দিন সন্ধ্যা থেকেই যাত্রাবাড়ী এলাকায় সংঘাত-সংঘর্ষ শুরু হয়। থেমে থেমে এটি চলে ২২ জুলাই পর্যন্ত। আদালতের শুনানির আগের দিন ২০ জুলাই সারা দেশে কারফিউ জারি ও সেনা মোতায়েন হলেও যাত্রাবাড়ী এলাকায় কারফিউয়ের মধ্যেও সংঘর্ষ চলতে থাকে। এ এলাকা কারফিউর দ্বিতীয় দিনে ২১ জুলাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে সেখানে সেনা ও পুলিশ প্রধানসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা পরিদর্শনে যান।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় তিন পুলিশ সদস্য নিহত হয় বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এছাড়া ১১৭ জন পুলিশ আহত হয়েছেন বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি জানান, আহতের মধ্যে ১৩২ জন গুরুতর আহত হন এবং তিন জন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) আছেন।

২৩ জুলাই

সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকরিতে ৯৩ শতাংশ নিয়োগ মেধার ভিত্তিতে করার বিষয়ে উচ্চ আদালতের আদেশের পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে। একইসঙ্গে ২০১৮ সালের প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হয়।

নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী নিয়োগে ৯৩ শতাংশ মেধা, ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং ১ শতাংশ প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য নির্ধারণ করা হয়। নতুন এই বিধান নবম থেকে ২০তম গ্রেডের জন্য প্রযোজ্য হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধার ভিত্তিতে শূন্য আসন পূরণ করা হবে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।

সীমিত পরিসরে ইন্টারনেট সেবা চালু: পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর সীমিত পরিসরে ইন্টারনেট সেবা চালু হয় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়। ২৩ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড লাইনের ইন্টারনেট চালু করা হয়। তবে মোবাইলের ইন্টারনেট সেবা এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চালু হয়নি।

ক্ষয়ক্ষতির চিত্র

কোটা আন্দোলনকারীরা বৃহস্পতিবার থেকে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণার পরই ওইদিন থেকে সারাদেশে ব্যাপক নাশকতা হয়। বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, আগুন ও লুটপাটের পাশাপাশি পুড়িয়ে দেয়া হয় সাধারণ নাগরিকদের যানবাহনও।

প্রায় দুইদিন ধরে চলে অরাজকতা। বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়। হামলা, তাণ্ডব ও নাশকতার চিত্র তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

*বিটিভি ভবনে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয়।

*স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শতাধিক গাড়ি পোড়ানো হয়। সেখানেও আগুন দেয়া হয়েছে।

*সেতু ভবনে দুবার আগুন দেয়া হয়। সেখানে ৫০টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়।

সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির কার্যালয়ে হামলা করা হয়েছে।

*ফার্মগেটে মেট্রোরেল স্টেশন ভাঙচুর।

*দিয়াবাড়ি মেট্রোরেলের ডিপোতে হামলা।

*শনির আখড়ায় মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের টোলপ্লাজায় আগুন ও ভাঙচুর।

*বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে হামলা ও আগুন।

*ধানমন্ডির পিটিআইয়ের অফিসে হামলা।

*দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অফিসে হামলা-ভাঙচুর ও শতাধিক গাড়িতে আগুন।

*মহাখালীর ডাটা সেন্টারে হামলা ও অগ্নি সংযোগ করে পুড়িয়ে দেয়া হয়।

*সাবমেরিন কেবল নষ্ট করা হয়।

*মহাখালী করোনা হাসপাতাল, পুষ্টি ইনস্টিটিউট, স্বাস্থ্য অধিদফতর, বিআরটিএ ভবনে আগুন দেয়া হয়েছে।

*আফতাবনগর ওয়াসা শোধনাগারে হামলা।

*বাড্ডা, নিউমার্কেট ও নীলক্ষেতে পুলিশ ফাঁড়িতে অগ্নিসংযোগ।

*রায়পুর পুলিশ কেন্দ্রে হামলা ও অগ্নিসংযোগ।

*রামপুরা থানা পুলিশে অগ্নিসংযোগ।

*মেরাদিয়া পিবিআই কার্যালয় ভাঙচুর।

*উত্তরায় রেললাইন উপড়ে ফেলা।

*মৌচাক পুলিশ বক্স; বসিলায় সিটি হাসপাতালে হামলা।

*কদমতলী, মোহাম্মদপুর থানায় হামলা; বরিশালে র‌্যাবের কার্যালয়ে হামলা।

*গাড়ির ভেতরে র‌্যাব সদস্যকে হত্যা করা; পুলিশকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়।

*ফকিরাপুল পুলিশ বক্স ভাঙচুর।

*উত্তরা পুলিশের ডিসির কার্যালয় ও টিএসটির আঞ্চলিক অফিস।

*টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ কার্যালয়।

*মধুপুর ও কালিহাতি উপজেলার দলের কার্যালয়।

*গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে আহত করা।

*জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর ও ১১টি মোটরসাইকেল পোড়ানো।

*গাইবান্ধায় রেললাইন উপড়ে ফেলা ও অগ্নি-সংযোগ।

*বগুড়ায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কার্যালয় ভাঙচুর ও লুটপাট।

*জাসদ কার্যালয়, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, সাংস্কৃতিক জোটের কার্যালয়, পুলিশবক্স, সদর ভূমি অফিস, রেল স্টেশন, সরকারি শাহ সুলতান কলেজ, সদর থানা, সিটি ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংকে ভাঙচুর।

*কোনাবাড়ি থানা এবং ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুর।

*কোনাবাড়ি পুলিশ থানা, বাসন থানার চৌরাস্তা পুলিশ বক্স ভাঙচুর ও আগুন।

*গাছায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক কার্যালয়ে আগুন দিয়ে ২০টি গাড়ি পুড়িয়ে ফেলা; ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ।

*টঙ্গীতে ডেসকোর বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ।

*বেক্সিমকো গার্মেন্টসে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর।

*টঙ্গী পূর্ব থানায় হামলা।

*নারায়ণগঞ্জ জেলা হাসপাতালে হামলা ও অগ্নিসংযোগ।

*নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের অফিসে হামলা।

*নারায়ণগঞ্জে আগুন দিয়ে একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিকে পুড়িয়ে দেয়া হয়।