[bangla_date] || [english_date]

নিজস্ব প্রতিবেদক *

দুদকের তলবের আগেই দেশছাড়া সাবেক আইজিপি বেনজীরের ভাগ্যে কী অপেক্ষা করছে। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না নিয়ে কি একসময়ের দোর্দণ্ড প্রতাপশালী পুলিশের এই কর্মকর্তা নিজের বিপদ বাড়াবেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জিজ্ঞাসাবাদে হাজির না হলে তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা বা পরবর্তী আইনি পদক্ষেপে বাধা থাকবে না। শাস্তি হতে পারে, সব্বোর্চ্চ ১০ থেকে ১২ বছর। গেল ৪ মে পরিবারসহ সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্য দেশ ছাড়েন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের সম্পদের অনুসন্ধান করতে গিয়ে দুদক কর্মকর্তাদের বিস্ময় বাড়ছে। দুই শতাধিক দলিল জব্দের পর নতুন করে তার নামে-বেনামে আরও কয়েক শ’ কোটি টাকার সম্পদের তথ্য পেয়েছে। স্ত্রী-সন্তানদের পাশাপাশি শ্বাশুড়ি ও স্বজনদের নামেও গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়।

বেনজীরের দুর্নীতির ফিরিস্তি নিয়ে রাজনীতির মাঠ থেকে শুরু করে বিভিন্ন মহলে যখন আলোচনার খোরক যোগাচ্ছে। তখন পরিবারসহ অনেকটাই আত্মগোপনে বেনজীর। তথ্য বলছে সম্পদ জব্দের আগেই পরিবার নিয়ে দেশ ছেড়েছেন তিনি। দুদকের দেওয়া চিঠি এখন পর্যন্ত পড়ে আছে তার বাসার অভ্যর্থনা কক্ষেই।

তার আইনজীবীদের সঙ্গেও নেই কোনো যোগাযোগ

এমন অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে আগামী ৬ জুন দুদকের তলবে হাজির না হলে, কি পদক্ষেপ নেবে সংস্থাটি। দুদকের জ্যেষ্ঠ এই আইনজীবীর মতে, মামলাসহ পরবর্তী যেকোনো আইনি পদক্ষেপে নিতে বাধা থাকবে না।

দুদকের সিনিয়র আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ওনাকে ছাড়া দুদকের অনুসন্ধান কাজ শেষ হবে, ওনাকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে আমরা এখনও আশা করছি উনি সুযোগটা গ্রহণ করবেন। সুযোগ যদি গ্রহণ না করে অনুসন্ধান কাজ আইন ও বিধি অনুযায়ী চলবে।

এর আগে, সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা, পিকে হালদারসহ অনেক অভিযুক্ত পলাতক দেশের বাইরে থাকায় তাদের বক্তব্য ছাড়াই মামলা করে দুদক। কাজেই বেনজীরের ক্ষেত্রেও পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে কোনো বেগ পেতে হবে না মনে করেন, দুদকের সাবেক এই মহাপরিচালক।

দুদকের সাবেক মহাপরিচালক মঈদুল ইসলাম বলেন, তিনি (বেনজীর) যদি আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য হাজির না হন তাহলে তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তা প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাওয়ার কথা। আর সেটা যদি হয় তাহলে মামলায় রূপান্তর হবে অর্থাৎ একটা মামলা দায়ের করবে।

তিনি বলেন, জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদের মামলায় সর্বোচ্চ ১০ বছরের সাজার বিধান রয়েছে। পাশাপাশি তার সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হবে।

২৩ ও ২৬ মে দুদকের দু’দফা করা আবেদন আমলে নিয়ে বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রী-সন্তানদের নামে থাকা বিভিন্ন সম্পত্তির দলিল, ঢাকায় ফ্ল্যাট ও কোম্পানির শেয়ার জব্দের নির্দেশ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন আদালত।