[bangla_date] || [english_date]

নিজস্ব প্রতিবেদক *

মস্কোর কাছাকাছি এলাকায় একটি কনসার্ট হলের ভেতরে বন্দুকধারীরা হামলা চালিয়েছে। এতে  হতাহত হয়েছে প্রায় দেড় শতাধিক লোক ।

শুক্রবার (২২মার্চ)রাশিয়ার ক্রোকাস সিটি হলে হামলার এ ঘটনা ঘটে। হামলার পর ঘটনাস্থলে নিহত ও আহতদের পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে ছদ্মবেশী কয়েকজনকে গুলি চালাতে দেখা যায়।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবরে বলা হয়েছে হামলাকারীর সংখ্যা তিন থেকে পাঁচজন হতে পারে।

বিবিসির খবরে রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিসের (এফএসবি) বরাতে বলা হয়, হামলার ঘটনায় অন্তত ৪০ জন নিহত এবং ১০০ জন আহত হয়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কোনো সংখ্যা উল্লেখ না করেই রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সংস্থা তাস এবং আরআইএ নভোস্তি জানিয়েছে, সেখানে অনেকেই নিহত ও আহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে হামলার পর ঘটনাস্থলে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটে, যা থেকে বিশাল অগ্নিকাণ্ড হয়। এ ঘটনায় ভবনটিতে কয়েক শতাধিক মানুষ আটকা পড়ে থাকতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যম।

মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন এই হামলাকে ‘মহা ট্র্যাজেডি’ বলে অভিহিত করেছেন। হামলার স্থানে অন্তত ৫০টি অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর বরাতে দ্যা গার্ডিয়ান বলছে, আক্রমণকারীরা একটি কনসার্ট চলাকালীন সময়ে ভবনের প্রবেশপথে গুলি চালায়। পরে ভবনটিতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।

মার্চের শুরুতে আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্ট, মস্কোর মার্কিন দূতাবাসের একটি সতর্কবার্তা পাঠিয়েছিলো, সেখানে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মীদের সাবধানে চলাচল করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিলো। সেই সঙ্গে কোলাহলপূর্ণ এলাকা ও জনসমাগমস্থল এড়িয়ে চলার পরামর্শও ছিলো।

সেই নির্দেশনায় বলা হয়েছিল যে, মস্কোতে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে এবং যুক্তরাষ্ট্র পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।

গার্ডিয়ানের খবরে আরও বলা হয়েছে, দাঙ্গা পুলিশ ওই এলাকায় বিস্ফোরণের পর পরই কাজ শুরু করে। তারা আশপাশ থেকে লোকজনকে সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।

এ হামলার ঘটনা ২০১৫ সালে নভেম্বরে প্যারিসের বাটাক্লানে হামলা ঘটনার মতো সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাগুলোকে মনে করিয়ে দেয়। যেখানে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।