[bangla_date] || [english_date]

কর্ণফুলি পার হলেই ইছামতি নদী। তার দু ‘পাশের দৃশ্য অপূর্ব। ঠান্ডা হাওয়া ছুঁয়ে যাচ্ছিল বারবার।আমার এ দৃশ্যটিকে শিল্পীদের আঁকা রঙ ক্যানভাসে কোনো ছবির মত মনে হয়।কতরকম গাছ, লতাগুল্মে জড়িয়ে সবুজ বন হয়ে গেছে চারপাশ।যেন পাখির ডাকে ঘুমিয়ে পড়ে গ্রামগুলো, আবার পাখির ডাকে জাগে। পাশেই রয়েছে  ইছামতি মায়ের মন্দির।চারদিকে কচি কচি সবুজ  ধানের চারা বাতাসে দুলছে। কিছুদূর যেতেই কচুরিপানার একটা বড় দাম ভেসে আসতে দেখলাম, তার ভেতর থেকে হলুদ ঠ্যাং নিয়ে বেরিয়ে এলো এক‌টি ডাহুক। সাথে দুটি ছানা ধূসর তাদের রঙ। দুচোখে যেন কাজল টানা ।কি সুন্দর জলের বুকে  কচুরিপানার ভেতর তাদের সংসার। কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই পোকামাকড় ধরে খাওয়াচ্ছে বাচ্ছাদের। কি অদ্ভুত নিরাপত্তা, নির্ভয় আশ্রয়। এমনই অপূর্ব বর্ণনায় চমৎকার ঘটনা প্রবাহ নান্দনিক চরিত্রের ভেতর শব্দে বাক্যে  গেঁথেছেন উপন্যাসটি  আশি দশকের অন্যতম গল্পকার দেবাশিস ভট্টাচার্য।

দেবাশিস ভট্টাচার্য একজন মুল ধারার গল্পকার। লিখছেন ‘৮০ দশক থেকে। লিখেন ছোট ছোট বাক্যে ধারালো ভাষায়।আনন্দ মৃত্যুর কাছে, পোকা জাতের মানুষ, আলোকিত কফিন, পাখিঘর, মেঘপ্লাবন এর পর গরুর গাড়ি জিন্দাবাদ পূর্ববর্তী গল্পের মতই অসামান্য জীবনবোধের আলোকন স্পর্শ করবে প্রতিটি পাঠকের মনে।