[bangla_date] || [english_date]
প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ. টি. এম. পেয়ারুল ইসলাম।

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম কেন্দ্রের উদ্যোগে অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ ও প্রকৌশলী সদস্যদের সন্তানদের মধ্যে যারা এসএসসি, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত হয়েছে তাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

রবিবার ( ১৪ জুলাই) সন্ধ্যায় কেন্দ্রের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত  অনুষ্ঠানে  প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান  এ. টি. এম. পেয়ারুল ইসলাম।

কেন্দ্রের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী এম. এ. রশীদ এর সভাপতিত্বে ও সম্মানী সম্পাদক প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহজাহান এর সঞ্চালনায়

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব এ. টি. এম. পেয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রকৌশলীদের নিরলস পরিশ্রমের ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন দৃশ্যমান। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, আধুনিক ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রকৌশলীদের অন্যতম মূখ্য ভূমিকা রাখার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তথ্য ও প্রযুক্তি খাত, প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ ও যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রকৌশলীরা গুরত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন বলে মন্তব্য করেন।

তিনি কৃতী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, শ্রেষ্ট মানুষ, বহুমাত্রিক জ্ঞান ও প্রতিভার অধিকারী হতে নিয়মিত অধ্যবসায়, খেলাধুলায় মনোনিবেশসহ নৈতিকার সাথে জীবন যাপন করতে হবে। ব্যর্থতা থেকে সফলতার সৃষ্টি। তিনি শিক্ষার্থী ও যুবসমাজকে অতিরিক্ত মোবাইলে আসক্তি, ধুমপান ও মাদক মুক্ত থেকে এবং দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনের সোচ্চার হয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ  গড়ে তোলার কাজে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান।

সভাপতির বক্তৃতায় কেন্দ্রের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী এম. এ. রশীদ বলেন, স্বাস্থ্যই হচ্ছে সকল সুখের মুল এবং মানুষের শরীর ও মনের মাঝে নিবিড় সম্পর্ক তৈরী করে। নিয়মিত খেলাধুলা ও শরীর চর্চা করলে মন ভালো থাকে, মানসিক প্রশান্তি বাড়ে এবং কর্ম স্পৃহা বৃদ্ধি পায়। তিনি কেন্দ্রকে প্রকৌশলীদের দ্বিতীয় নিবাস হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে প্রকৌশলী পরিবারের সদস্যদের মাঝে ভ্রাতৃত্ববোধ, সৌহাদ্যপূর্ণ সুসম্পর্ক সৃষ্টি ও সহমর্মিতা স্থাপনের লক্ষে আরো অধিক হারে শরীর চর্চা, খেলা-ধুলা ও বিভিন্ন বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে বলে জানান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন  ক্রীড়া উপ-কমিটি আহবায়ক প্রকৌশলী সুভাষ চক্রবর্ত্তী। অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রের প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ, প্রকৌশলী এম শাহজাহান, প্রকৌশলী মোহাম্মদ হারুন, প্রকৌশলী মনজারে খোরশেদ আলম, প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন, পিডিবির (বিতরণ) প্রধান প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবির, সিনিয়র প্রকৌশলী অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী স্বপন কুমার পালিত, কাউন্সিল সদস্য প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দিন জুয়েল।

মাসব্যাপী অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ২২১জন প্রকৌশলী, প্রকৌশলী গৃহিণী ও সন্তান ৭টি গ্রুপে ৩৭টি আইটেমে ৪৩২টি খেলায় অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্য থেকে ১১৪জন বিজয়ীকে পুরস্কার হিসেবে সনদ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এছাড়া প্রকৌশলী পরিবারের ৫৭জন সন্তানকে কৃতিত্বপূর্ণ জিপিএ-৫ প্রাপ্ত হওয়ায় সম্মাননা সনদ ও ক্রেস্ট উপহার দেয়া হয়। পরে আমন্ত্রিত দুইজন অতিথি শিল্পী রাহিনাতুন জান্নাত কান্না ও সানি ধর সঙ্গীত পরিবেশন করেন।