[bangla_date] || [english_date]

নিজস্ব প্রতিবেদক *

সেনা অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রাণে বাঁচতে ঢাকা ছেড়ে ভারতে পাড়ি দেন শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার কয়েক ঘণ্টা বাদেই বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান দাবি করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। যদিও সেই দাবি নস্যাৎ করেছিলেন হাসিনা পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়।

তিনি জানিয়েছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেননি তার মা।’ তখন মুখ না খুললেও প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা জানান, ‘তিনি এখনো বাংলাদেশের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে চলা অন্তর্বর্তী সরকার সম্পূর্ণ অবৈধ।’

শুক্রবার সকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে শেখ হাসিনার সঙ্গে এক ব্যক্তির কথোপকথন। ওই কথোপকথনে শোনা যাচ্ছে শেখ হাসিনা বলছেন, ‘সে (মুহাম্মদ ইউনূস) তো জবরদখল করছে। তার কোনো বৈধতা নাই। উপদেষ্টা বলে আমাদের কোনো পদ নাই। মানুষ খুন করে মেরে, একটা সিচ্যুয়েশন তৈরি করে তারপর সে ক্ষমতায় গেল।’

অন্য প্রান্তে থাকা ওই ব্যক্তিকে এসময় বলতে শোনা যায়- ‘জি আপা, জি আপা এগুলো আমরা ইউরোপীয় পার্লামেন্টকে জানাচ্ছি।’ তখন শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি তো পদত্যাগ করি নাই। আমাদের কনস্টিটিউশনের আর্টিক্যাল ৫৭ অনুযায়ী যেভাবে পদত্যাগ, আমার কিন্তু সেভাবে পদত্যাগ করা হয়নি। সে কিন্তু ৬ তারিখের জায়গায় ৫ তারিখে (লং মার্চ) নিয়ে আসল। ৫ তারিখে নিয়ে আসার ফলে এমনভাবে চারদিকে লোক ঘেরাও…আমি দেখলাম যে এখন যদি ফায়ার ওপেন করে আমার এখানের সিকিউরিটি… তাহলে অনেক লাশ পড়বে। লাশ ফেলে আমি ক্ষমতায় থাকতে চাই না।

খানিকটা চুপ থেকে মুজিব কন্যা আরো বলেন, ‘যখন এমন সিচ্যুয়েশন হয়ে গেল যে আমার সিকিউরিটি যারা ছিল তারা বাধ্য হয়ে…তখন আমাকে সরে যেতে হলো গণভবন থেকে। যার ফলে বঙ্গভবনে গিয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা আমি দিইনি। কাজেই আমার কিন্তু পদত্যাগ হয়নি। আমি এখনও বাংলাদেশের কনস্টিটিউশনাল ইলেকটেড প্রাইম মিনিস্টার।’