মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫

চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক হাসপাতালের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আহবায়ক কমিটি গঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক *

bsrm

চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চট্টগ্রাম জেলাপ্রশাসক কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিট্রেটকে আহবায়ক ও চট্টগ্রাম সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. ফরিদুল আলমকে সদস্যসচিব করে ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।

চট্টগ্রাম জেলাপ্রশাসক ফরিদা খানম স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে বলা হয়,মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নম্বর-১৬১০/২০২৩ চলমান থাকায় এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে হাসপাতালের আজীবন সদস্যবৃন্দ, ডাক্তার,কর্মকর্তা-কর্মচারিদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা থাকায় চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্যে এ আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যরা হলো, চট্টগ্রাম পুলিশ কমিশনারের প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ও চট্টগ্রাম হালিশহর সেনানিবাস অধিনায়ক ৩৩ এডি ব্যাটারি আর্টিলারির প্রতিনিধি ।

এই আহ্বায়ক কমিটি আগামী ৪৫ দিন পর্যন্ত চট্টগ্রামের ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকবেন বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়।ads din

চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের মেয়াদোত্তীর্ণ বহিস্কৃত সভাপতি জাহাঙ্গীর চৌধুরীর পদত্যাগ, হাসপাতালে প্রশাসক নিয়োগসহ ১৪দফা দাবীতে গত ৫অক্টোবর থেকে হাসপাতালের চিকিৎসক-কর্মকর্তা-কর্মচারিরা সভা-সমাবেশ,র‌্যালি ও মানববন্ধন করে আসছেন। গতকালও (১২ অক্টোবর) দুপুরে একই দাবীতে তারা সমাবেশ ও র‌্যালি বের করে। এমতাবস্থায় চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আন্দোলনরত চিকিৎসক-কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সাথে বৈঠকে বসেন এবং হাসপাতালের বিরাজমান সমস্যাসমূহ সমাধানের আশ্বাস দেন।

উল্লেখ্য, গত ৫ অক্টোবর ২০২৪ জাহাঙ্গীর চৌধুরী সমাজসেবা অধিদপ্তরের আদেশ অমান্য করে অবৈধভাবে পকেট কমিটি গঠন করে সেটির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেও কর্মকর্তা-কর্মচারিদের প্রতিরোধের মুখে তা হয়নি। “দুর্নীতিবাজ, অত্যাচারী ফ্যাসিস্ট জাহাঙ্গীর চৌধুরীর ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল থেকে পদত্যাগ চাই” লেখা ব্যানার নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারিরা জাহাঙ্গীর চৌধুরীর ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে ১৪ দফা দাবী আদায়ে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। উত্তেজিত কর্মকর্তাচারিদের চাপের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তার দুর্নীতির সহযোগী হাসপাতাল পরিচালক নওশাদ আজগর চৌধুরী, প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা আমান উল্লাহ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল ও নিরীক্ষা কর্মকর্তা ইয়াছিন চৌধুরী। সেনাবাহিনী ও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে সেনা ও পুলিশ পাহারায় অবরুদ্ধ কর্মকর্তারা হাসপাতাল ত্যাগ করেন। আত্মরক্ষার্থে তার অন্য অনুসারীরাও পালিয়ে যান। এসয়ময় জাহাঙ্গীর চৌধুরীকে হাসপাতালে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়। জাহাঙ্গীর চৌধুরীকে ওইসময় পাওয়া গেলে তাঁকেও পদত্যাগে বাধ্য করা হতো বলে হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারিা চাটগাঁর বাণীকে বলেন।

 

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও