নিজস্ব প্রতিবেদক *
আসন্ন সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে প্রাথমিকভাবে প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) করা আপিল নিষ্পত্তি শুরু হয়েছে। আজ রবিবার সকালে মোট ৫০টি আপিল নিষ্পত্তি করেছে ইসি। এর মধ্যে ৩০ জন তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। ইসি জানিয়েছে, বাকি প্রার্থীদের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। তাদের কেউ কেউ প্রার্থিতা ফিরে পেতে উচ্চ আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের ৪জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। স্বতন্ত্র প্রার্থিরা প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় হেভিওয়েট প্রার্থীদের সঙ্গে জমবে ‘ভোটখেলা’।
চট্টগ্রাম ১ (মিরসরাই) আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন, চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ শাহজাহান, চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুচ ছালাম ও চট্টগ্রাম-১৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ মোতালেব প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
তবে আপিল নামঞ্জুর হয়েছে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ইমরানের।
চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন। এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন মাহবুব রহমান রুহেল। বর্ষীয়ান নেতার ‘উত্তরসূরী’ হিসেবে মনোনয়ন পেলেও তাকে এখন পাঞ্জা’ লড়তে হবে পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ গিয়াস উদ্দিনের সঙ্গে।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। আসনটিতে আওয়ামী লীগের হয়ে লড়ছেন নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ। ফলে তাকেও দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হচ্ছে।
এছাড়া চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা নদভীকে পড়তে হচ্ছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মোতালেবের বিরোধিতার মুখে। ‘ত্রুটিযুক্ত’ ভোটার তালিকায় প্রার্থী তালিকা থেকে ছিটকে পড়লেও আপিলে টিকে গেছে তার মনোনয়নপত্র।
এদিকে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার পর মিরসরাই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘আমি প্রথম ধাপে ন্যায়বিচার পেয়েছি। আমি চাই ভোটের মাধ্যমে মানুষ তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করুক। মিরসরাইবাসীর ভোটের অধিকার নিশ্চিত হলে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি এখানকার মানুষের ভালোবাসা এবং তাদের অনুরোধে। আমি বিশ্বাস করি মিরসরাইয়ের আপামর জনসাধারণ আমাকে বিপুল ভোটে জয়ী করবেন।’
গিয়াস উদ্দিনের প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী ও কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ এলিট বলেন, ‘আমি আশা করছি, নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে। জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন এবং এ নির্বাচনে জনগণের আশার প্রতিফলন ঘটাতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’