চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ মুজাহেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, সংস্কৃতি হচ্ছে একটি দেশ ও জাতির উন্নয়ন- অগ্রগতির অনুঘটক। কোনো দেশ ও জাতির সংস্কৃতিতে আঘাত হানলে সে দেশের ধ্বংস অনিবার্য হয়ে উঠে।
হিজরী নববর্ষ উদযাপন মঞ্চ এর উদ্যোগে রবিবার (৭ জুলাই) বিকেল ৩ টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবস্থ ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হিজরি বর্ষবরণ উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্য দানকালে তিনি উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন,মানুষ এবং পশুর মধ্যে তফাৎ নির্ণিত হয় সংস্কৃতির জোরে। কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য যে, আমাদের সংস্কৃতিতে অনুপ্রবেশ ঘটেছে নানামাত্রিক অপসংস্কৃতির। ফলে আমরা না বাঙালিয়ানা রক্ষা করতে পারছি, না পারছি ইতিহাস-ঐতিহ্যের সুরক্ষা দিতে। বর্তমানে অপসংস্কৃতি আমাদের সামাজিক জীবনকে গিলে খেয়েছে। পাশ্চাত্য সংস্কৃতির অবাঞ্ছিত আগ্রাসনের শিকার জাতির ভবিষ্যৎ কিশোর-যুবরা। বেহায়াপনা, বেলেল্লাপনা, নারী- পুরুষের অবাধ মেলামেশা, আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গি, হিপ্পিগিরিসহ ইত্যাকার বিষয়াদিকে তারুণ্যের অহংকার হিসেবে প্রদর্শিত হচ্ছে। ফলে দৌঁড়ে পালিয়েছে সুস্থ সংস্কৃতি।
তিনি আরো বলেন- এদেশে বাংলা ও ইংরেজি নববর্ষ অত্যন্ত ঘটা করে পালিত হয়। অথচ বাংলাদেশ বিশ্বের ২য় বৃহত্তম মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্র হওয়া সত্ত্বেও নিরবে- নিবৃত্তে চলে যায় মহিমান্বিত হিজরি নববর্ষ দিবসটি। নৈতিক চরিত্র বিধ্বংসী সংস্কৃতির চর্চা দেশ ও জাতির জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে বলে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন- ইসলামের শ্বাশত আদর্শের চর্চা ও অনুশীলনই একমাত্র তরুণ-যুবসমাজকে এহেন অশুভ পরিণতি থেকে সুরক্ষা দিতে পারে। আর এক্ষেত্রে হিজরী বর্ষবরণ উৎসব একটি কার্যকর মহৌষধ হিসেবে ভূমিকা রাখবে।
হিজরী নববর্ষ উদযাপন মঞ্চের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ আবু ছালেহ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উৎসবে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত বাংলাদেশের কো-চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট ইসলামী স্কলার, অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর, প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নজরুল ও মাইজভাণ্ডারী গবেষক, রিসার্চ ফেলো, ড. সেলিম জাহাঙ্গীর।
হিজরী নববর্ষ মঞ্চের সচিব লায়ন মোহাম্মদ এমরান ও মাওলানা জাহিদ কাদেরীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক অধ্যক্ষ আল্লামা এস.এম ফরিদ উদ্দীন, সম হামেদ হোসাইন, এড. মীর ফেরদৌস আলম সেলিম, কাজী মুফিজুর রহমান, কাজী আহছানুল আলম, আহমদ রেজা, প্রভাষক মাওলানা মুহাম্মদ আইয়ুব, ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দীন জাহেদ, আবু সাদেক ছিটু, কফিল উদ্দীন রানা, মুনির উদ্দীন, ইঞ্জিনিয়ার রাসেল, শহীদুল ইসলাম, মিজবাহ উদ্দীন, মাসরুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার তারেকুল ইসলাম তানিম প্রমুখ।