বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

কোটাবিরোধী আন্দোলনের পেছনে ষড়যন্ত্র আছে কিনা, খতিয়ে দেখার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর

ঢাকা প্রতিনিধি *

এসএসসি-এইচএসসি সমমান পরীক্ষায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী শিক্ষার্থীদের চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনের বিষয়ে বলেছেন, সর্বোচ্চ আদালতে বিচারাধীন এবং সেটার সমাধান না হওয়ার আগেই হঠাৎ করে আমি রাস্তায় নেমে আসলাম এবং রাস্তা-ঘাট সব ব্লক করে দিলাম, স্বাভাবিকভাবেই আমাদের প্রশ্ন থাকতে পারে এর পেছনে কোনো গভীর ষড়যন্ত্র আছে কি না।bsrm

রবিবার (৭ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত ‘এসএসসি-এইচএসসি সমমান পরীক্ষায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, অনেক সময় জনপ্রিয় অনেক বিষয়কে পুঁজি করে ষড়যন্ত্রকারীরা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। তাই সেই ফাঁদে যাতে আমরা পা না দেই। তিনি বলেন, প্রথমত এটি আদালতে বিচারাধীন আছে, আদালতের সিদ্ধান্তের পরে নির্বাহী বিভাগ সেটা বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই একটা ফ্লেক্সিবিলিটি থাকে। সেটার জন্য অবশ্যই আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের অনেকেই দেশের বাইরে অপপ্রচার করে যে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সভা সমাবেশ বা সংগঠন করতে নাকি নিষেধ, চ্যালেঞ্জ করে তারা সমালোচনা করতে চায়। আজকে যারাই আন্দোলন করছেন, এ আন্দোলনে তাদের যে একটা রাজনৈতিক অধিকার হিসেবে স্টে (অবস্থান) করতে পারছেন এটা কি প্রমাণ হয় না বাংলাদেশে রাজনৈতিক অধিকারের প্রশ্নে বাকস্বাধীনতার চর্চার প্রশ্নে আমাদের সরকারের কারও ওপরে কোনো বিধিনিষেধ নেই।ads din

বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক রাস্তায় দাঁড়িয়ে মন্তব্য করতে পারেন উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মন্তব্য করতে কোনো বাধা নেই। কিন্তু দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে আদালতের জন্য আবমাননাকর কোনো বক্তব্য দেয়া আমার পক্ষে অবশ্যই সম্ভব নয়।

মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, আমরা বাংলাদেশে দেখেছি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট, সেই সময়টাতে কিন্তু নানানভাবে শুরু হয়েছিল ষড়যন্ত্রকারীদের কর্মকাণ্ড। স্থিতিশীলতাকে বিনষ্ট করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দেশে এমন একটা পরিস্থিতি করা যেখানে প্রগতিশীল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে বারংবার এমন একটা অবস্থার মধ্যে ফেলে দেয়া হয়। সে ধরনের প্রচেষ্টা হচ্ছে কি না সেটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে।

তিনি বলেন, একটা নির্দিষ্ট মানের মেধা ধারণ না করে কোনো শিক্ষার্থীর পক্ষে প্রাথমিক ধাপ অতিক্রম করা সম্ভব না, সেটা তো আমরা সবাই জানি। সে ক্ষেত্রে তার পরবর্তী ধাপ কীভাবে নির্ধারিত হবে, সেটা যেহেতু আদালতে পেন্ডিং আছে, সেটা নিয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না।

অনুষ্ঠানে ডিআরইউর সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভর সভাপতিত্ব করেন। কল্যাণ সম্পাদক তানভীর আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসবিএসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য এ জেড এম শফিউদ্দিন শামীম।

অনুষ্ঠানে ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন স্বাগত বক্তব্য দেন। এ ছাড়া এসবিএসি ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) নুরুল আজিম বক্তব্য দেন।

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও