বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

টাকা আত্মসাতে বিচার শুরু নোবেল বিজয়ী ইউনূসের

নিজস্ব প্রতিবেদক *

bsrm

গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের প্রায় ২৬ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় নোবেল বিজয়ী ডক্টর মুহম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন ও আনুষ্ঠানিক বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত। এর মধ্য দিয়ে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।

আজ  বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন আসামিদের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। একই সঙ্গে আগামী ১৫ জুলাই মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখও ধার্য করেছে আদালত।

আদালত জানায়, ঘটনার সঙ্গে আসামিদের সম্পৃক্ততা আছে বলে প্রতীয়মান হয়। এতে জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নেয়ার অভিযোগ গঠনের পর্যাপ্ত উপাদান বিদ্যমান রয়েছে। এজন্য অভিযোগ গঠন করা হলো।ads din

অভিযোগ গঠনের সময় নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জন নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যয়বিচারের প্রার্থনা করেন।

বিচার শুরু হওয়া এই মামলায় অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এস এম হুজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী ও জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম ও দফতর সম্পাদক মো. কামরুল হাসান।

গত দুই এপ্রিল ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আস সামছ জগলুল হোসেন। তিনি পরবর্তী বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ বদলির আদেশ দেন।

গত ১ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান।

২০২৩ সালের ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ছয় হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

এর আগে দুই জুন দুদকের মামলায় আদালতে হাজির হয়ে ইউনূস বলেন, মহাকাব্যে দেব-দেবীরা অভিশাপ দেয়। আমিও মনে হয় এ রকম মহাকাব্যের অংশ হয়ে গেছি। কোনো দেব-দেবী আমাকে অভিশাপ দিয়েছে। আমার ওপর অসন্তুষ্ট হয়েছে। অভিশাপের কারণেই আমরা দুদকের এখানে এসেছি।.. এ হলো অভিশপ্ত জীবনের একটা অংশ।

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও