বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

স্বাধীনতা সংগ্রামে চট্টগ্রামের ভূমিকা ঐতিহাসিকঃ মেয়র রেজাউল

নিজস্ব প্রতিবেদক *

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক ভূমিকা থাকলেও পর্যাপ্ত গবেষণা ও প্রচারের অভাবে জনগণের কাছে পৌঁছেনি বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।bsrm

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ)মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গণস্থ শহিদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন মেয়র।

এসময় মেয়র বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে চট্টগ্রামে ভূমিকা ঐতিহাসিক। শুধু নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ নয়, স্বাধীনতা আন্দোলনের পটভূমি তৈরি করতে চট্টগ্রাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ১৯৬৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে আওয়ামী লীগের ডাকে বিশাল জনসভায় প্রথম জনতার সামনে বঙ্গবন্ধু ছয় দফা কর্মসূচির  ঐতিহাসিক ঘোষণা প্রদান করেন। কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে জাতির পিতার স্বাধীনতার ঘোষণা ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে। পাকিস্তানিদের ভিত কাঁপিয়ে দেয়া অপারেশন জ্যাকপট যার মাধ্যমে পাকিস্তানিদের    তিনটি বড় অস্ত্রবাহী জাহাজ পানিতে তলিয়ে যায় তাও পরিচালিত হয় চট্টগ্রাম বন্দরে।

“তবে, পর্যাপ্ত গবেষণা ও প্রচারের অভাবে চট্টগ্রামের এতসব ঐতিহাসিক ভূমিকা ও অর্জন জনগণের কাছে সেভাবে পৌঁছেনি। তরুণদের প্রতি আমাদের অনুরোধ গবেষণা ও প্রচারের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের এই ঐতিহাসিক ভূমিকার কথা জনতার কাছে ছড়িয়ে দিতে। যে চেতনাকে ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, সে চেতনাকে শাণিত করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে তরুণদের।”ads din

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গণস্থ শহিদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো রেজাউল করিম চৌধুরী।

এরপর টাইগারপাসস্থ  চসিক কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান  মেয়র। এসময় চসিক কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নারের উদ্বোধন করেন মেয়র৷ এ কর্নারে বঙ্গবন্ধুর লেখা তিনটি বই- অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা, আমার দেখা নয়াচীন রাখা হয়েছে সারি সারি করে। এছাড়া, বঙ্গবন্ধুর বিখ্যাত সব উক্তি দিয়ে সাজানো হয়েছে দেয়াল। চসিকে আসা সেবাগ্রহীতারা অপেক্ষমাণ অবস্থায় বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন নানা কিছু এ কর্নার থেকে।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, শিক্ষা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ও কাউন্সিলর নেছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, সমাজকল্যাণ স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি আবদুস সালাম মাসুম, নুরুল আমিন, গোলাম মো. জোবায়ের, সলিম উল্ল্যাহ, আবুল হাসনাত মো. বেলাল, আবদুল মান্নান, ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, নূর মোস্তফা টিনু, আনজুমান আরা, ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমি,  মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আকবর আলী, ফরহাদুল আলম, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৈতী সর্ববিদ্যা, শিক্ষা কর্মকর্তা রাশেদা আক্তার, নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলামসহ সিবিএ নেতৃবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, চসিকের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং  রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ৷

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও