নিজস্ব প্রতিবেদক *
সাবেক মন্ত্রীর ছেলে আবদুল লতিফ টিপুর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম নগরীর ব্যাটারি গলি এলাকায় ক্লিফটন গ্রুপের জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে।
আজ সোমবার (২৫ মার্চ) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে ক্লিপটন গ্রুপের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ করা হয়।ক্লিপটন গ্রুপের জিএম (এস্টেট ) মোহাম্মদ সেলিম সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, কোতোয়ালী থানাধীন আলমশাহ কাঠগড় সিএম-৭২ দাগের আন্দর এবং সামিল আর.এস ১১৫ নম্বর খতিয়ানের আর এস ৩৯৮ দাগের আন্দর তৎ সামিল পি এস ৪০/১ নম্বর খতিয়ানের পি এস ৮৭/৬৭ দাগাদির আন্দর তৎ সামিল ভুল বি.এস ৪২/৪৩ নম,নম্বর খতিয়ানের বিএস ৫৫/৬০/৫৪ দাগাদির মোট ১২৪৮ শতাংশ বাড়ি ভিটা ও প্রাইভেট চলাচলের রাস্তা। এই তফসিলের সম্পত্তিটি স্বনামধন্য শিল্প প্রতিষ্ঠান ক্লিফটন গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রফেসর এম ডি এম কামাল উদ্দিন চৌধুরীর মালিকানাধীন। ওই সম্পত্তিতে দুটি টিনশেড ঘর রয়েছে। সেখানে কোম্পানির কেয়ারটেকার ও একজন ভাড়াটিয়া বসবাস করে আসছে। ওই সম্পত্তি নিয়ে স্থানীয় কিছু লোকের সাথে ক্লিফটন গ্রুপের বিরোধ ছিল। বিরোধী বিষয় নিয়ে গ্রুপের চেয়ারম্যান বিজ্ঞ আদালতে অপর মামলা- ৩১৩/২১ দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
এরই মধ্যে গত ২৩ মার্চ, শনিবার দিনদুপুরে প্রকাশ্যে সাবেক মন্ত্রী মরহুম এম এ মান্নানের পুত্র আব্দুল লতিফ টিপুর নেতৃত্বে কাজীর দেউড়ি নূর আহমদ সড়কের আব্দুল সাত্তারের ছেলে আব্দুস শুকুর, আব্দুল মান্নান, আব্দুল রশিদের ছেলে আব্দুল সালামসহ ৪০-৫০ জন জায়গাটি জবরদখল করার জন্য একত্রিত হয়। তাদের সবার হাতে অস্ত্র এবং তাদের মুখে মুখোশ পড়া অবস্থায় ছিল।
তখন কোম্পানির সম্পত্তি দেখাশোনায় থাকায় ইঞ্জিনিয়ার অনিমেষ এবং সিকিউরিটি গার্ড মতিয়ার রহমান তাদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা তাদের গালিগালাজ ও মারধর করে, তাদের দখলে কোনো বাধা দিলে ‘লাশ ফেলা হবে’ বলে হুমকি দিয়ে ভাড়াটিয়াদের জিনিসপত্র ঘর থেকে বের করে দেয়। তারা সেখানে থাকা কোম্পানির লোকজনকে জোরপূর্বক বের করে দিয়ে, ভাড়াটিয়াদের জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে জায়গাটি জবরদখল করে নেয়।
এ সময় তারা সেখানে স্থাপিত সিসি ক্যামেরাগুলো ভাঙচুর করে এবং অন্যান্য স্থাপনাগুলোও ভাঙচুর করে। এ অবস্থায় দায়িত্বে থাকা ইঞ্জিনিয়ার অনিমেষ গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রফেসর এম ডি এম কামাল উদ্দিন চৌধুরীকে অবহিত এবং জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর ফোন করে ঘটনার বিষয়ে অবগত করেন। এর মধ্যে কোতোয়ালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
পরে থানায় গিয়ে মামলা করার কথা বললেও পুলিশ মামলা গ্রহণ করেনি। তারা জিডি করার পরামর্শ দিলে গ্রুপের সিনিয়র সহকারী এস্টেট ম্যানেজার এ এফ এম সাহাব উদ্দীন কোতোয়ালী থানায় এ ব্যাপারে জিডি করেন। (জিডি নং ২২২৮, তারিখ: ২৩.০৩.২০২৪)
দেশের প্রচলিত আইনকানুনের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল জানিয়ে জিএম মোহাম্মদ সেলিম বলেন, দেশের আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সন্ত্রাসীরা দিনদুপুরে প্রকাশ্যে অপরের সম্পত্তি জবরদখল করে নিয়েছে-এটা কারও জন্যই ভালো লক্ষণ নয়। এ ধরনের ঘটনা সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ করতে না পারলে ভবিষ্যতে যে কোনো দিন যে কেউ এমন অন্যায়ের শিকার হবেন। তাই এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ক্লিফটন গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ আলী হায়দার চৌধুরী, পরিচালক মিনহাজ উদ্দীন চৌধুরী, জিএম (এডমিন) এম এ সিদ্দিক চৌধুরী।