বিশেষ প্রতিবেদক *
বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা মুছে দিতেই ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গণহত্যা শুরু করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। ২৫ মার্চ অপারেশন সার্চলাইট নামের অভিযানে এক রাতেই অন্তত ৫০ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছিলো।
মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে পাক বাহিনীর গণহত্যায় শহীদ হন ৩০ লাখ মানুষ। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর এখনো সেই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মেলেনি।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর লক্ষ্য ছিলো রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও পুলিশ সদর দপ্তর। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয় ছাত্র শিক্ষকদের। রেহাই পায়নি ছাত্রীরাও।
রাজারবাগ পুলিশ লাইন ও ইপিআর সদর দপ্তরে হত্যা করা হয় বাঙালি পুলিশ ও রাইফেলসের সদস্যদের। সেরাতে ঢাকার রাস্তায় যাকে পেয়েছে তাকেই হত্যা করেছে পাক বাহিনী। এক রাতে কেবল ঢাকায় গণহত্যার শিকার ৫০ হাজার মানুষ। পরে মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে গণহত্যার শিকার আরও ৩০ লাখ।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচে বড় এই গণহত্যা নিয়ে নানা আলোচনা ও তথ্যপ্রমাণ থাকলেও মেলেনি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। এর স্বীকৃতি আদায়ে সরকারি যে উদ্যোগ দরকার ছিলো সেটিও দেখা যায়নি। ২০১৭ সালে জাতীয় সংসদ ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এরপর শুরু হয় স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা। সব তথ্য প্রমাণই আছে। এবার প্রয়োজন আন্তর্জাতিক অঙ্গণে সেটি তুলে ধরা।
ইতিহাসবিদ ড. মুনতাসীর মামুন বলছেন, পৃথিবীর নানা দেশেই বাংলাদেশর গণহত্যা নিয়ে কথা হচ্ছে, গবেষণা হচ্ছে। এটাও একরকম স্বীকৃতি।
জাতিসংঘের তরফ থেকে স্বীকৃতি না মিললেও গণহতা নিয়ে কাজ করে এমন বেশ কটি সংস্থার পাশাপাশি বেশ কটি দেশও ৭১ এর গণহত্যার স্বীকৃতি দিয়েছে।