বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

চিনি পর্যাপ্ত পরিমাণে সংরক্ষণে আছে, বাজারে প্রভাব পড়বে না : এস. আলম গ্রুপ

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় এস. আলম রিফাইন্ড সুগার মিলের একটি গুদামে বিগত ৪ মার্চ বিকেলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিস, নৌ ও বিমানবাহিনীসহ প্রশাসনের সার্বিক প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে কোনো হতাহতের ঘটেনি তবে আগুনে পুড়ে গেছে ১ লাখ টনের মতো অপরিশোধিত চিনি।bsrm

আগুনের উৎপত্তির কারণ এখনো জানা যায়নি। আগুনের ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে  সাত সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। এটি নাশকতার ঘটনা কি না তাও খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছে কল-কারখানা অধিদপ্তর।

রমজানকে সামনে রেখে মর্মান্তিক এই অগ্নিকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব চিনির বাজারে পড়বে কি না সে বিষয়ে দুর্ভাবনায় রয়েছে সাধারণ ভোক্তারা। তবে এস. আলম গ্রুপ জানিয়েছে, ভোক্তাদের চাহিদামাফিক বাজারের জন্য পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে ১০-১২ দিনের পরিশোধিত চিনি প্রস্তুত রয়েছে এস. আলম গ্রুপের। সৌভাগ্যবশত আশেপাশেই অবস্থিত চিনির অন্য ৩-৪টি গুদাম আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, সেখানে ৬-৭ লাখ টন অপরিশোধিত চিনি মজুত আছে। তাই চিনির বাজারে দীর্ঘস্থায়ী সংকটের আশঙ্কা নেই। আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত কারখানা চালুর সর্বাত্মক চেষ্টা করছে এস. আলম গ্রুপ এবং চিনির আরো চালান(শিপমেন্ট) আসছে।

এস. আলম গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক আখতার হাসান বলেন, “আমরা যত দ্রুত সম্ভব রিফাইন মিলটির কার্যক্রম শুরুর জন্য চেষ্টা করছি। কারখানা চালু হলে চিনির গুদামে ঘটে যাওয়া এই অগ্নিকাণ্ডের দীর্ঘস্থায়ী কোনো সংকট থাকবে না বলে আমরা মনে করি। আগুন লাগা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত পরিমাণে চিনি মজুত থাকায় বাজারে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে আশাবাদী এস. আলম গ্রুপ।”ads din

তিনি আরো বলেন, “অনেক অসাধু বিক্রেতা হয়তো এই পরিস্থিতিতে সুবিধা নিতে চাইবেন। তবে বাজারে সরবরাহের জন্য যথেষ্ট চিনি আমাদের কাছে মজুত রয়েছে। আগামী কয়েক দিনেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।”

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও