নিজস্ব প্রতিবেদক *
কক্সবাজারের টেকনাফের জিম্বংখালী সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ভোরে অন্তত ৩০টি মর্টার শেলের বিস্ফোরণ হয়েছে। রাত ১২টার পর থেমে থেমে বিস্ফোরণে টেকনাফের গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। ফলে লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়।
জিম্বংখালী বিওপির বিপরীতে দেড় কিলোমিটার দূরে মিয়ানমারের জিবিং অং এবং চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার ভেতরে হারিংগাচরের মারিক্কমপাড়া এলাকায় এসব বিস্ফোরণ হয়। সেখানে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সঙ্গে আরাকান আর্মির সদস্যদের তুমুল সংঘর্ষ হচ্ছে। এরই প্রভাবে যে কোনো সময় বিজিপি সদস্যদের বাংলাদেশে আবারও ঢুকে পড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার পর থেকে টেকনাফের হ্নীলার কাস্টমস ঘাট সীমান্তে থেমে থেমে গোলার শব্দ পাওয়া যায়। অন্তত চার দফায় মর্টার শেলের শব্দ পাওয়া যায়। টেকনাফ সীমান্তের ওপারে অনেক বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে ঢোকার জন্য চেষ্টা করছে– এমন গুঞ্জন ছিল দিনভর। তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই সীমান্ত হয়ে কোনো বিজিপি সদস্য ঢোকেনি।
এদিকে, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্তের ওপার থেকে গতকাল গোলাগুলির তেমন শব্দ শোনা যায়নি। তবে উখিয়ার সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তর থেকে বুধবার রাতের পরও কয়েক দফায় বিকট গোলার শব্দ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া মর্টার শেলের শব্দেও কেঁপে ওঠে আশপাশের এলাকা। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে ঘুমধুম সীমান্তের নয়াপাড়া বিলে একটি অবিস্ফোরিত মর্টার শেল কুড়িয়ে পায় স্থানীয় শিশুরা। যেখানে মর্টার শেল পাওয়া যায়, সেখান থেকে মিয়ানমার সীমান্তের দূরত্ব মাত্র ১০০ মিটার।
এদিকে, বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘাতে টিকতে না পেরে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ৩৩০ সদস্যের মধ্যে ১০০ জনকে তুমব্রু থেকে টেকনাফে স্থানান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাদের টেকনাফের হ্নীলা আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে। এখানে আশ্রয় নেয়া সদস্যদের মধ্যে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি), সেনাবাহিনী ও শুল্ক বিভাগের সদস্য রয়েছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বলছে, প্রশাসনিক সুবিধার কথা বিবেচনা করে তাদের স্থানান্তর করা হয়েছে।